বালুরঘাট: বর্ষার বাংলায় ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্য়ু হল ছোট্ট বাচ্চার। মৃত ওই বালকের নাম প্রীতম প্রামাণিক। বয়স ১২ বছর। পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। সোমবার সকালে এলাকারই এক দোকানের ধারে বালকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহের মাথার দিক থেকে কিছুটা অংশ মাটি খুঁড়ে দোকানের ভিতরে ঢুকে ছিল। আজ সকালে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। তবে কীভাবে ওই বালক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হল, সেই বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট।
পরিবারের দাবি, বাড়ির ছাগলের জন্য গতরাতে ওই বালক পাতা জোগাড় করতে বেরিয়েছিল। এলাকার ওই দোকানের ধারে একটি গাছ থেকে পাতা একত্রিত করছিল সে। সেই সময়েই এই অঘটন ঘটে। পরিবারের বক্তব্য, দোকানের খোলা বিদ্যুতের তার থেকেই বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। যে দোকানটির পাশে এই ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি একটি স্টেশনারি দোকান। মালিকের নাম সূর্য মহন্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, দোকানটি নিরাপদে রাখার জন্য ওই ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে দোকান বন্ধ করার সময় কোনও একটি বিদ্যুতের সংযোগ খোলা অবস্থায় রেখে যেতে। ফলে টিনের তৈরি পুরো দোকানটিই তড়িৎবাহী হয়ে থাকত। এর ফলেই ছোট্ট ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
বিষয়টি নিয়ে ওই দোকান মালিকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিরও দিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। এদিকে ঘটনার পর থেকেই এলাকায় খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ওই দোকান মালিক সূর্য মহন্তর। আবার আরও একটি তত্ত্বও উঠে আসছে ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যেভাবে দেহের কিছুটা অংশ মাটি খুঁড়ে দোকানের ভিতরের দিকে ঢুকেছিল, তাতে অনেকে সন্দেহ করছেন, ওই বালক দোকানে চুরির চেষ্টা করে থাকতে পারে। যদিও গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বালকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।