বালুরঘাট: প্রায় ছয় ঘণ্টা পরও বালুরঘাট (Fire in Balurghat) পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি অফিসের আগুন পুরোপুরি নিভল না। রাতেও আগুন নেভানোর কাজ করে যাচ্ছেন বালুরঘাটের দমকলের কর্মীরা৷ শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও জেসিবি দিয়ে ভাঙা অংশ সরানোর কাজও। এদিকে এলাকায় এখনও বিষাক্ত ক্লোরিনের গন্ধ রয়েছে। তবে বেশ কিছুক্ষণ আগে পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, যে বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছিল তার বিদ্যুৎ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে পিএইচই অফিসের বিধ্বংসী ও ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে অফিসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। আগুন লাগার পরেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে অফিসের গোটা বিল্ডিং। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই ভেঙে পড়ে দুইতলা বিল্ডিংয়ের একাংশ। এদিকে অফিসের ভেতরে থাকার জলের জন্য ব্যবহৃত ক্লোরিন সহ নানা রাসায়নিক পদার্থ এবং প্লাসটিকের পাইপ সহ নানা দাহ্য পদার্থ পুড়তে থাকে। যার ফলে নিমিষেই কালো বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। আগুন লাগতেই একের পর এক এসি বিকট শব্দে ফাটতে শুরু করে। আতঙ্কে তাড়াহুড়ো করে অফিস থেকে বের হতে গিয়ে আহতও হন বেশ কয়েকজন কর্মী।
তবে এখনও আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়। দমকলবাহিনীর অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে তাঁরা তদন্ত করে নিশ্চিত হতে চাইছেন। আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থল আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। দুপুর থেকে বিকেল অবধি আগুন নেভানোর কাজ করলেও আগুন আয়ত্তে আনতে বেগ পেতে হয়। পিএইচই অফিসের আগে ডিআই অফিস। সেই অফিস বিল্ডিং দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চালায় দমকল কর্মীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা, মহকুমাশাসক সুমন দাশগুপ্ত সহ অন্যরা।