বালুরঘাট: এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এক কিশোরীর সঙ্গে। কিন্তু প্রেমিকার পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নেননি। ভিন কাজ থেকে বাড়ি ফিরলে তাই প্রেমিকাকে নিয়ে চলে এসেছিল নিজের বাড়িতে। কিন্তু এর এক দিন পরই প্রেমিকার বাড়ির লোকেরা এসে নিয়ে চলে যায় প্রেমিকাকে। এর কয়েক ঘণ্টার পরই আত্মঘাতী হল ওই কিশোর। শনিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগরে৷ মৃতের নাম প্রশান্ত টুডু (১৭)৷ সে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। দিল্লিতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির কাজ থেকে এক সপ্তাহ আগেই প্রশান্ত বাড়ি এসেছিল। প্রশান্তর সঙ্গে বালুরঘাটের মহদীপুর এলাকার একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে। তাদের সম্পর্কের কথা মেয়ের বাড়ির লোক মেনে নেয়নি৷ তাই গত বৃহস্পতিবার প্রশান্ত তার প্রেমিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে আসে। ওই দিন প্রশান্তের বাড়িতেই ছিল তার প্রেমিকা। শুক্রবার প্রেমিকার বাপের বাড়ির লোকজন রাধানগরে চলে আসে। এবং তাদের মেয়েকে তুলে নিয়ে চলে যায়। পুজো সেরে এ কথা জানতে পারে প্রশান্ত। শনিবার তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকেরা।
এ বিষয়ে মৃতের দাদা তাপস মুর্মু বলেছেন, “ভাই গত পরশু একটি মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল৷ সেই মেয়েটিকে আবার তার বাবারা এসে নিয়ে যায় গতকাল৷ এর পর ভাই মনমরা হয়ে পড়ে। এবং রাতেই গলায় ফাঁস লাগায়৷ আজ সকালে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়৷” এ বিষয়ে মৃতের বন্ধু বাপ্পা হেমব্রম বলেন, “প্রশান্ত খুব মিশুকে ছিল৷ তবে গতকাল মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেভাবে আর সে কথা বলছিল না। এর পর প্রশান্ত আত্মহত্যা করেছে।”