বালুরঘাট: অস্ত্রোপচারের জন্য বালুরঘাট পুর হাসপাতাল মাতৃসদনে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড জমা দিয়েছিলেন রোগীর পরিবার। অস্ত্রোপচারের আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে ১২ হাজার টাকা কেটে নেওয়াও হয়। কিন্তু, অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের ঠিক আগের মুহুর্তে অতিরিক্ত টাকার দাবি করেন হাসপাতালের এক চিকিৎসক। অতিরিক্ত টাকা না পেলে অস্ত্রোপচারেও অনীহা দেখান। বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার বিকেলে বালুরঘাট পুর হাসপাতাল মাতৃসদনের সামনে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনরা। বালুরঘাটের পুর হাসপাতাল মাতৃসদনে রোগী ভর্তি করানোয় চরম হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে বলেই অভিযোগ রোগীর পরিবার-পরিজনদের। হয়রানির বিরুদ্ধে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে চলেছে পরিবার। যদিও বা অভিযুক্ত চিকিৎসক টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট পুরসভার দিশারি এলাকার মহিলা লতিকা মণ্ডল (৭৬) গল ব্লাডারের পাথর ধরা পরে কয়েকদিন আগে। চিকিৎসকেরা দ্রুত অস্ত্রোপচারের কথা জানান। স্বাস্থ্যসাথীতে সেই পাথর অপেরেশনের জন্য মাতৃসদনে চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর দেখা যায় শরীরের মধ্য়ে থাকা পাথারটি আকারে বেশ বড়। সে কারণেই মহিলার পেটের ব্যথাও ক্রমশ বাড়ছে। অপারেশনের জন্য শুক্রবার ভর্তি হন হাসপাতালে। অভিযোগ, শনিবার দুপুর আড়াইটের সময় অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য সাথীর টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে রোগীর পরিবার জানতে পারে, ইতিমধ্যেই অপেরেশনের জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে ১২ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও কেন করা হল না অপারেশন? কেন আরও টাকা চাওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলে রোগীর পরিজনের ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এ বিষয়ে বৃদ্ধা রোগীর নাতনি প্রিয়া মণ্ডল বলেন, সমস্ত রিপোর্ট দেখেই চিকিৎসক অপেরেশনের জন্য শুক্রবার ভর্তি করতে বলেন। সেই মত শুক্রবার ভর্তি করেছি, শনিবার দুপুরে অপেরেশনের কথা ছিল। স্বাস্থ্যসাথীতেই হয়ে যাবে প্রথমে বলা হয়। সেইমত স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থেকে টাকাও কেটে নেওয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসক বলছে অতিরিক্ত টাকা দিলে অপেরেশন হবে। আমরা এ ঘটনায় জেলাশাসক ও মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে চলেছি।
অন্যদিকে এ বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, বিষয়টি আপনাদের কাছেই শুনলাম। এই নিয়ে আমার কাছে এখনও কেউ কোন অভিযোগ জানায়নি। স্বাস্থ্যসাথীতে অপেরেশন হয়। এই বিষয়টির তদন্ত করে দেখা হবে।