দক্ষিণ দিনাজপুর: স্কুল ছুটির পর মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে অটোয় ফিরছিল। পিছন থেকে আসা একটি বাস এসে সজোরে ধাক্কা মারে অটোয়। সঙ্গে সঙ্গে উল্টে যায় অটোটি। তিন শিশু-সহ তাদের মায়েরা ছিটকে পড়ে রাস্তায়। জানা গিয়েছে, তিনজন দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। কারও হাতে ক্ষত, কারও আবার পিঠে, কোমরে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে পড়ুয়ারা। মায়েদেরও কারও মাথায়, কারও হাতে লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও ঠক ঠক করে কাঁপছেন তাঁরা। আঘাত নিয়ে রক্তাক্ত সন্তানদের আগলে দাঁড়িয়ে আছেন। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের আটইর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাচ্চা ভর্তি অটোতে ধাক্কা মারে যাত্রীবোঝাই একটি বাস। অভিযোগ, অটোটি যখন আসছিল, সামনে একটি গরু চলে আসে। সেই গরুকে সাইড দিতে গিয়ে কিছুটা বেসামাল হয় অটো। এরপরই পিছন থেকে আসা বাসটি ধাক্কা মারে। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। তাঁরাই মা ও বাচ্চাদের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে এরপরই ছুটে আসেন বাড়ির লোকেরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেখানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে কোনও পুলিশি নজরদারি নেই। সিভিক ভলান্টিয়ার পর্যন্ত থাকে না সেখানে। অথচ নিয়মিত বাস, অটো, গাড়ি যাতায়াত করছে। স্কুল পড়ুয়াদেরও যাতায়াতের পথ এটি।
বালুরঘাটের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে ওই তিন পড়ুয়া। পাগলিগঞ্জ ও খাসপুর এলাকায় বাড়ি তাদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট ট্র্যাফিক ওসি বৃত্তিসুন্দর সাহা-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মী। মেয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দীপা হালদার। তিনি বলেন, পিছন থেকে একটা বাস এসে ধাক্কা মারল। এরপর আর কিছুই মনে নেই। মেয়েটা পড়ে যেতেই ওর মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু। কিছুই মনে নেই আর।
প্রভাস সরকারের স্ত্রীও ছিলেন অটোতে। ছেলেকে নিয়ে ফিরছিলেন। প্রভাস সরকারের কথায়, “স্কুল ছুটির পর ছেলে অটোয় করে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির একেবারে কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তায় একটা গরু ছিল, অটোটা পাশ কাটাতে যায়। সেই সময় একটা বাস এসে ধাক্কা মারে। অটোটা একেবারে পাল্টি খেয়ে যায়। মা ছেলে দু’জনই আহত হয়েছে। খবর পেয়েই ছুটে আসি আমি।”