তপন: প্রধান করেনি তৃণমূল। তাতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন দণ্ডি কান্ডের শিকার হওয়া আদিবাসী মহিলা শিউলি মার্ডি। তাঁর দাবি, ভোটে লড়ার সময় দলের তরফে প্রধান হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায় গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান করা হয়েছে অন্য আর একজনকে। সে কারণেই দলের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলছেন শিউলি দেবী। সংবাদমাধ্যমের সামনে এ নিয়ে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন তিনি। শিউলি দেবী সরব হতেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)। তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গঠন করে। ওই বোর্ডের প্রধান নির্বাচিত হন আর্জিনা বিবি এবং উপ প্রধানের দায়িত্ব পান পবন পাল। শিউলি মার্ডিকে দেওয়া হয়নি কোনও পদ। শিউলি দেবীকে প্রধান না করায় ক্ষোভে ফুঁসছে আদিবাসী অধ্যুষিত চকবলরাম গ্রাম। শিউলি মার্ডিই প্রধান হোক। চেয়েছিল গ্রামের আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। কিন্তু, তা না হওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
শিউলি মার্ডি বলছেন, “আমাকে দলের তরফে আমাকে প্রধান করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। আমি আশাবাদী ছিলাম। এমনকি গ্রামের সবাই ভেবেছিল আমিই প্রধান হব। দলের প্রতি আমার ভরসা ছিল। কিন্তু, দল আমার উপর আস্থা রাখতে পারল না৷”
এ বিষয়ে অপর দণ্ডি কাণ্ডের শিকার আর এক মহিলা মার্টিনা কিস্কু বলছেন, “ওই ঘটনায় আমরা যে ব্যাথা পেয়েছিলাম, শিউলি দি প্রধান হলে সেই ব্যাথা কমে যেত। কিন্তু তা করেনি দল। বিশ্বাস ভঙ্গ তো হলই।”
তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ঝুলি থেকে আসল সত্য বেরিয়ে আসছে। তৃণমূল ওই আদিবাসী মহিলাদের নিয়ে খেলেছে। আমরা আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতিকে বানিয়েছি। একমাত্র বিজেপিই আদিবাসীদের ভালবাসে।
পাল্টা রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, “দণ্ডিকাণ্ডের পরে দলের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দল একজনকে প্রার্থী করেছে। কিন্তু পঞ্চায়েত পাঁচ বছর চালাতে হবে। আই প্যাক ও দলীয় সিন্ধান্তেই প্রধান নির্বাচিত হয়েছে। শিউলিকে আমরা হয়তো সঞ্চালক করব। কে জানে, পরেরবার হয়তো শিউলি প্রধান হবে। রাজনীতিতে লেগে থাকতে হবে তো।”