Suicide: প্রতিবেশীর সঙ্গে পালিয়েছে বউ, ফিরিয়ে আনতে গিয়ে সইতে হয়েছে অপমান, অভিমানে আত্মঘাতী রঞ্জিত

Rupak Sarkar | Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 01, 2023 | 10:01 PM

Suicide: প্রায় বছর কুড়ি আগে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় রঞ্জিত মহন্তের। তাঁদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। কয়েক মাস আগে মেয়ের বিয়েও হয়েছে৷

Suicide: প্রতিবেশীর সঙ্গে পালিয়েছে বউ, ফিরিয়ে আনতে গিয়ে সইতে হয়েছে অপমান, অভিমানে আত্মঘাতী রঞ্জিত
শোকের ছায়া গোটা পরিবারে
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

তপন: প্রতিবেশীর সঙ্গে পালিয়েছে স্ত্রী। ঘটনা জানতে পেরে স্ত্রীকে বেশ কয়েকবার ফিরিয়ে আনারও চেষ্টা করেন স্বামী। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। উল্টে স্ত্রীকে আনতে গিয়ে অপমানিত হতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে অভিমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন রঞ্জিত মহন্ত(৪১)। পেশায় দিনমজুর। কাজ করেন ভিন রাজ্যে। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার তপন থানার মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব নিমপুরে। গত ২৬ তারিখ কীটনাশক খান ওই ব্যক্তি৷ মঙ্গলবার সকালে প্রায় সাতটার দিকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। তবে এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে খবর। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে তপন থানার পুলিশ।

সূত্রের খবর, প্রায় বছর কুড়ি আগে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় রঞ্জিত মহন্তের। তাঁদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। কয়েক মাস আগে মেয়ের বিয়েও হয়েছে৷ কর্মসূত্রে মাঝে মধ্যেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতেন রঞ্জিতবাবু। যদিও গত বৈশাখ মাসে বাড়ি আসার পর তিনি আর বাইরে কাজে যাননি৷ এদিকে বেশ কয়েক মাস ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে নানা কারণে তাঁর ঝামেলা হত বলে খবর।

এরই মধ্যে গত ১৮ জুলাই পাশের গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যান রঞ্জিত মহন্তের স্ত্রী৷ বিষয়টি জানতে পেরেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিকবার গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে রঞ্জিতবাবুকে। এরইমধ্যে গত বুধবার বালাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠে কীটনাশক খেয়ে নেন তিনি।  বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন সকালে মৃত্যু হয় রঞ্জিতের। রঞ্জিতবাবুর পরিবারের সদস্য দাবি, স্ত্রীর উপর অভিমান করেই এই কাজ করেছেন তিনি। মৃতের দাদা অজিত মহন্ত বলছেন, “বউয়ের শোকেই ও এই কাণ্ড করছে। আমরা দেখে ওকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু, শেষ রক্ষা তো হল না। আজ সকাল ৬টা নাগাদ ও মারা যায়।”

Next Article