দার্জিলিং: শেষমেশ পাহাড়ে বনধ স্থগিত রাখলেন বিনয় তামাংরা। মাধ্যমিক পরীক্ষাকে মাথায় রেখেই বিনয় তামাংরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিলেন বিনয়-বিমল গুরুংরা। ২০১৭ সালে পাহাড়ে অশান্তির পর এই প্রথম বনধ হত। যা নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে, এই বনধের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। বিনয় তামাংরা আশ্বস্ত করলেও উদ্বেগে ছিল কয়েক হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শেষমেশ বিনয় তামাংদের এই সিদ্ধান্তে পাহাড়ে আপাতত আশঙ্কার মেঘ কাটল বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, যদি আইন না মেনে বনধ হয়, তা হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত খবর ছিল, আগামিকালের জন্য সব রকম প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল জেলা প্রশাসনের তরফে। যানবাহন সচল রাখা এবং পর্যটকদের কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, তার জন্যও বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়। জানা যায়, বনধের প্রতিবাদে আগামিকাল রাস্তায় নামতেন অনিত থাপারা। দোকানপাট খোলার রাখার আহ্বান জানাতেন।
যদিও বিনয় তামাংরা জানিয়েছিলেন, বনধে মাধ্যমিক পরীক্ষার কোনও অসুবিধা হত না। তারা ইতিমধ্যে একদিনের প্রতীকী অনশন চালাচ্ছেন। সোমবার বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ করায় সরকার। তারপরই নতুন গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হন বিনয় তামাং-বিমল গুরুংরা। বনধের ডাক দেন তাঁরা। যা ২০১৭ সালের পর এই প্রথম বনধ বলে মনে করা হচ্ছিল। ওই বছর পাহাড় অভূতপূর্বভাবে অশান্ত হয়ে ওঠে। এই অশান্তির পিছনে বিমল গুরুংকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করায় শাসক দল। তারপর তিস্তা দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। যে বিনয় তামাং বনধ ডেকেছেন, রাজনৈতিক ভাবে একসময় শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, এমনকী বিমল গুরুংকেও পরবর্তী সময়ে শাসক ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গিয়েছে।