শিলিগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সোমবার সকালে বিমানবন্দরে নেমে গজলডোবায় তিস্তার লকগেট ঘুরে দেখেন তিনি। এরপর জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের হুদুভিটায় একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা পরিদর্শন করেন তিনি।
এ দিন, নবান্নের প্রতিনিধিদল আসছে শুনে আগেভাগেই রাজগঞ্জে হুদুভিটা এলাকায় জড়ো হন গ্রামেরর মানুষ। গাজলডোবায় এলাকা পরিদর্শন সেরে মন্ত্রীর কনভয় এলাকায় পৌঁছতেই সেখানে উপস্থিত মানুষজন মন্ত্রীকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দেখিয়ে বলেন,”জলের তোড়ে আস্ত কালভার্ট উড়ে গিয়েছে। রাস্তা ধসে ভেসে চলে গিয়েছে। রাস্তার অন্যদিকেও একই পরিস্থিতি। ফলে কার্যত দ্বিপের মধ্যে আটকে গিয়েছেন কয়েকশো মানুষ।”
দ্রুত সেচমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়ে জানান, অস্থায়ী কাঠের সেতু বানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুজোর আগে স্থায়ী পাকা সেতু বানিয়ে দিতেও নির্দেশ দেন তিনি। সেচমন্ত্রী জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্নের দল এসেছে। আমরা ঘুরে দেখছি বিভিন্ন এলাকা। একটি প্রাথমিক রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে জমা দেওয়া হয়েছে। এই টিম চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবে। মানুষের ক্ষয়ক্ষতি দেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। যেখানে যা দরকার তা করা হবে।”
আজ এলাকা ঘুরে দেখে বিকেলে উত্তরকণ্যায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলার সেচ আধিকারিকদের নিয়ে এলাকা ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে উত্তরকণ্যায় জরুরী বৈঠকে অংশ নেন পার্থ ভৌমিক। এরপর বিকেলে আলিপুরদুয়ার রওনা হন তিনি। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার ও বানারহাটের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে নবান্নের প্রতিনিধিদল।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। ভূটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে রীতিমতো ভাসছিল চা বলয়। প্রচুর মানুষের বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে জল। ভেঙেছে বাড়ি। যার জেরে নামাতে হয়েছে সেনা। তবে কয়েকদিন ধরে আর বৃষ্টি হয়নি। কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি।