জলপাইগুড়ি: একদিকে প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্যদিকে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতেই নমিনি হিসেবে ওমপ্রকাশকে পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা সংসদ। এই পরিস্থিতিতে আইনজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথা ভাবছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিযুক্ত উপাচার্য রথীন বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, উপাচার্য যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন তাতে অনুমোদন দেনে কর্মসমিতি। যাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তিনিই যদি সেই কর্মসমিতিতে থাকেন, তাহলে কাজ কোন পথে এগোবে? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন উপাচার্য সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়কে সেই ভার দেওয়া হয়েছিল। দু দিন আগেই সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপাচার্য পদে বসিয়েছেন রাজ্যপাল।
এরপর মঙ্গলবার সেই উচ্চশিক্ষা কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসেবে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে পাঠানোর নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের জেরেই বেড়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যপাল যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চালাতে চাইছেন, তাতে রাশ টানতেই কি কর্মসমিতিতে ওমপ্রকাশকে পাঠানো হল?
রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, তদন্তের কাজ এগোচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই নথি সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী কাজ করব।’ তবে যাঁর বিরুদ্ধে তিনি তদন্ত করছেন, তিনি কর্মসমিতিতে থাকবেন, এ নিয়ে কিছু দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানান তিনি। যা দূর করা দরকার। সে কারণেই আইনজীবীদের পরামর্শ নিতে চান তিনি।
সুবীরেশ ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পর ওমপ্রকাশকেই উপাচার্য করেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি পরে। এরপরই সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়কে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়।