শিলিগুড়ি: ধর্ষণে বাধা দেওয়াতেই কি খুন হতে হল মাটিগাড়ার কিশোরীকে? স্কুল ছাত্রীর মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এমন একটি তত্ত্ব উঠে আসছে পুলিশ সূত্র মারফত। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় নাবালিকাকে জঙ্গলের ভিতরে এক পরিত্যক্ত ঘরে কেন নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক? সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকার মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধারের ছ’ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, ওই যুবক কিশোরীর পূর্ব পরিচিত ছিল।
উল্লেখ্য, সোমবার জঙ্গলের ভিতরে যে পরিত্যক্ত ঘর থেকে নাবালিকার ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই এলাকায় কোনও সিসিটিভি ফুটেজ নেই। তবে নাবালিকা যে পথে স্কুল থেকে বেরিয়ে ওই এলাকায় গিয়েছে সেই পথের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে গিয়েছে। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই যুবক কিশোরীকে স্কুল ছুটির পর সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে আসছিল। তা দেখেই পুলিশের অনুমান নাবালিকা ওই স্কুল ছাত্রী ধৃতের পূর্ব পরিচিত হতে পারে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবক জেরার সময় দাবি করছে সে ওই কিশোরীকে আগে থেকে চিনত না। গতকালই প্রথম দেখা হয়েছিল। তবে সিসিটিভি ফুটেজে দু’জনের কথা বলার সময় যে শরীরি ভাষা দেখা গিয়েছে, তা দেখে পুলিশের অনুমান তাদের পূর্ব পরিচিতি ছিল।
এদিকে পুলিশ সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। পুলিশ যখন গতকাল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, তখনও সেই যুবকের নেশার ঘোর পুরোপুরি কাটেনি। স্কুল ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় কিশোরীর মাথা থেঁতলানো দেহ উদ্ধারের ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। গতরাত থেকে দফায় দফায় ধৃত যুবককে জেরা করা হয়েছে। আর এরই মধ্যে ধর্ষণে বাধা দেওয়ার কারণেই খুনের একটি তত্ত্ব উঠে আসতে শুরু করেছে।