দার্জিলিং: রাজ্যজুড়ে রক্তারক্তি। বোমাবাজি। খুনোখুনি। অভিযোগের শেষ নেই। শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে। পঞ্চায়েত ভোটে এটাই ছিল বাংলার ভোটচিত্র। তবে এসবের থেকে কিছুটা ব্যতিক্রমী পাহাড়। ২৩ বছর পর সেখানে পঞ্চায়েত ভোট হল। দ্বিস্তরীয় ভোট। বিক্ষিপ্ত একটি-দুটি ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিপূর্ণই কাটল দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পঞ্চায়েত ভোট। প্রথমত, দুই দশকেরও বেশি সময় পর পঞ্চায়েত ভোট হল পাহাড়ে। তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে নতুন ভোটারদের।
বুথগুলির বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫৬.৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনও পুরো হিসেব এসে পৌঁছায়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পুরো হিসেব পাওয়া গেলে, ভোটের হার ৭০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, অতীতের লোকসভা ভোট বা বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোটের হার যা ছিল, তার থেকেও বেশি এবারের ভোটের হার। লোকসভা নির্বাচনের সময়ে ৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল। বিধানসভায় ভোটের হার ছিল ৬১ শতাংশ। এবার পুরো হিসেব আসার আগেই ৫৬.৫ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। বিকেল ৫টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও অনেকগুলি বুথের বাইরে ভোটারদের লাইন ছিল। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের তুলনায় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে পাহাড়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ অনেকটা বেশি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
যদিও বিক্ষিপ্তভাবে কিছু অশান্তির অভিযোগও এসেছে। কালিম্পংয়ের ভালুখোপ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী ইমানুয়েল লেপচার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ। প্রার্থীর নাবালিকা সন্তানও রেহাই পায়নি, অভিযোগ বিজেপির। হামলার তীব্র নিন্দা করছেন পাহাড়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে অনীত থাপার দল।