Panchayat Elections 2023: ভোটের ৬ সপ্তাহ অবধি রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক, রাজ্যপালকে আর্জি বিজেপি সাংসদের

Prasenjit Chowdhury | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 29, 2023 | 4:44 PM

Darjeeling: দার্জিলিং সংসদের মধ্যেই পড়ে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। যেখানে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেখানে একজনের খুনের অভিযোগও উঠেছে।

Panchayat Elections 2023: ভোটের ৬ সপ্তাহ অবধি রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক, রাজ্যপালকে আর্জি বিজেপি সাংসদের
সাংসদ রাজু বিস্তা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

শিলিগুড়ি: একুশের বিধানসভা ভোটের পর সবথেকে বেশি চর্চিত হয়েছিল, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের পরও সেই একই আশঙ্কা বিরোধী শিবিরে। আর সে কারণেই ভোটের পরও যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন থাকে, তার জন্য আবেদন জানালেন বিজেপি সাংসদ। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে এই আর্জি জানিয়েছেন। সাংসদ রাজু বিস্তা রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানান, ভোট শেষ হওয়ার অন্তত ৬ সপ্তাহ পরও যেন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে।

ভোটের আবহে ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি একযোগে সোচ্চার। এই আবহেই রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। তাঁর সঙ্গে ছিল পাহাড়ের ৮টি দল।

দার্জিলিং সংসদের মধ্যেই পড়ে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। যেখানে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেখানে একজনের খুনের অভিযোগও উঠেছে। পাহাড়েও বহু আসনে বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে বিরত রাখার অভিযোগ উঠেছে।

এদিন রাজ্যপালকে রাজু বিস্তা এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান বলেই সূত্রের দাবি। এরপরই সাংসদ আবেদন করেন, শুধু নির্বাচনের দিনই কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, শুধুমাত্র গণনার দিনই নয়, গণনা মিটে যাওয়ার পরও যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূলের ফল খারাপ হবে সেখানে অন্তত যেন ৬ সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে। যাতে ভোট পরবর্তী কোনও হিংসার ছবি বাংলাকে দেখতে না হয়।

এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজু বিস্তা বলেন, “সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়েই ওনার কাছে আবেদন জানিয়েছি। বলেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী যে মোতায়েন করা হবে, ভোটের পর ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত যেন সেখানেই থাকে। কারণ, হিংসা নিয়ে আমাদের ভয় আছে। আমরা মানুষকে সুরক্ষা দিতে চাই।”

যদিও সুরক্ষা নিয়ে এদিন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সমস্ত নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়। কারণ, মানুষ সবার উপরে। মানুষ যাকে মনে করবে, সে কাজ করবে মানুষের জন্য। এখানে হানাহানি, রেষারেষির কোনও কারণ নেই। মানুষ বিচার করবে কাকে সমর্থন করবে। কে সেই সুযোগ পাবেন।”

Next Article