শিলিগুড়ি: ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার। বাইরে থেকে বন্ধ ছিল দরজা। শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। গলায় ক্ষতচিহ্নের দাগ। তদন্তকারীদের একাংশ খুনের আশঙ্কা করছেন। শিলিগুড়ির অরবিন্দপল্লীর ঘটনা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ।মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত প্রৌঢ়ার নাম সোমা সরকার (৫১)। তাঁর বড় মেয়ে মাটিগাড়া এলাকায় থাকেন। ছোট মেয়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই। ফলত, প্রৌঢ়া একাই থাকতেন সেখানে। জানা গিয়েছে, সোমাদেবীর একটি বুটিক ছিল। বাড়িতে বসেই তিনি সেই ব্যবসা সামলাতেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকেই মেয়ে ফোন করেন তাঁর মা-কে। কিন্তু কোনও উত্তর পাননি। এরপরই প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মৃতার মেয়ে। প্রতিবেশী এক মহিলা ফ্ল্যাটের সামনে পৌঁছতেই দেখতে পান ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। এরপরই সন্দেহ দানা বাঁধতেই ভেতরে ঢোকেন তিনি। সেসময় নজরে আসে নিথর দেহ। ঘটনার খবর দেওয়া হয় শিলিগুড়ি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তদন্তকারী পুলিশ কর্তাদের একাংশর কথায়, মৃত প্রৌঢ়ার শরীরে ক্ষত চিহ্ন দেখা গিয়েছে। এছাড়াও ঘরের ভিতরে অসংলগ্নতাও লক্ষ্য করা গিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। অন্যদিকে,বাইরে থেকে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি খুন করা হয়েছে ওই প্রৌঢ়াকে? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। তদন্ত করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফরেন্সিক বিভাগ।
মৃতার প্রতিবেশী রুম্পি ঘড়াই বলেন, “সোমা সরকারের মেয়ে সকালে ফোন করছেন আমাকে। মা ফোন ধরছে না দেখে আমাকে বিষয়টি জানায়। আমি খোঁজ নিতে যাই। সেসময় দেখি ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। এরপর ডাকাডাকি করতে করতে ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় নিহর অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিনি।”
ঘটনা প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার বলেন,”মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”