আসানসোল: এ রাজ্যে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে গতি বাড়িয়েছে ইডি, সিবিআই। ইতিমধ্যেই কোলিয়ারি এলাকার একাধিক জায়গায় অভিযানও চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তদন্তকারীদের নাম নিয়েই প্রতারণার ফাঁদ পাতল দুষ্কৃতী। এলাকায় এজেন্সির তল্লাশি চলছে, এমন ভুয়ো খব শুনিয়ে রেলকর্মীর বাড়ি থেকে টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতী। এরপর ওই রেলকর্মীর পরিবার জানতে পারে পুরোটাই মিথ্যা কথা। বুঝতে পারে, সর্বস্বান্ত হয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার রেল শহর চিত্তরঞ্জন থানায় এমনই অভিযোগ ঘিরে চাপানউতর তৈরি হয়েছে এলাকায়।
রেলশহর চিত্তরঞ্জনের ফতেপুর এলাকার ৫৪ নম্বর রোডে ২১/এ আবাসন। সেখানে রেলকর্মী ইয়েলাপ্পা রমনমূর্তি ও তাঁর স্ত্রী ওয়াই যজ্ঞেশ্বরী থাকেন। তাঁদের দুই মেয়ে। একজন বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে, অন্যজন চাকরিসূত্রে কলকাতায়। বুধবার দুপুরে চিত্তরঞ্জনের আবাসনে বিশাল চেহারার এক ব্যক্তি আসে। নিজেকে যজ্ঞেশ্বরীদেবীর স্বামীর বন্ধু বলে পরিচয় দেয়। বলে, একই বিভাগে তারা কাজ করে। চিত্তরঞ্জন রেলইঞ্জিন কারখানায় সিবিআই অভিযান চালাচ্ছে বলে সে। দু’জন কর্মী ধরাও পড়েছেন। যজ্ঞেশ্বরীদেবীর স্বামীও গ্রেফতার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে।
এমনকী এই আবাসনেও সিবিআই আসছে বলে জানায় সে। যজ্ঞেশ্বরীদেবীকে বলে, ফাইলপত্র, টাকাকড়ি, গয়নাগাটি যা আছে পাশের বাড়ি সরিয়ে রাখে। স্বামীকে ফোন করতে যাচ্ছিলেন যজ্ঞেশ্বরীদেবী। সে সময় বাধা দিয়ে বলেন, সিবিআই ফোন দেখছে সকলের। এরপরই যজ্ঞেশ্বরীদেবী পাশের বাড়িতে গয়না না রেখে ওই লোকের হাতেই দিয়ে দেয় সবটা।
৫ হাজার টাকা, সোনার মঙ্গলসূত্র, এক ভরি সোনার চেন, দু’টি সোনার কানের দুল, রুপোর বাটি ও স্বামীর আধার কার্ডের কপি পোটলা বেঁধে দিয়ে দেন যজ্ঞেশ্বরীদেবী। হাতে সেসব পাওয়ার পরে দ্রুত চম্পট দেয় ‘স্বামীর বন্ধু’। এদিকে ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরে এসে যজ্ঞেশ্বরীদেবীর মুখে সব কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন ইয়েলাপ্পা রমনমূর্তি। চিত্তরঞ্জন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।