চন্দননগর: তাঁর বাচ্চার উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে। পুলিশের কাছে এই অভিযোগ করেছিলেন বাবা। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। সাজা ঘোষণাও করে আদালত। এদিকে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছিলেন শিশুটির বাবা। আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, অভিযুক্তের কোনও দোষ নেই। কোনও অপরাধ করেনি। যদিও মিথ্য়া বলে শেষে ধরাও পড়ে যান। সেই ব্যক্তিকেই এবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল চন্দননগর আদালত (Chandannagar Court)। পুলিশের মত, এই ধরনের কেসে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার আগে এবার থেকে দু’বার ভাববে মানুষ। মনে থেকে যাবে পরিণতি। আদালতের এই দৃষ্টান্তমূলক রায় নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
সূত্রের খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর যখন পুলিশ তদন্ত করছিল তখন গোপন জবানবন্দিতে শিশুটির উপর যে যৌন নির্যাতন হয়েছিল তা জানিয়েছিল শিশুটির মা-বাবা। পরবর্তীতে আদালতে মামলা উঠলে শিশুটির বাবা আবার বয়ান বদলে ফেলেন। বলেন, তাঁদের শিশুটিকে কোনও অত্যাচারই করেনি অভিযুক্ত। তাঁর কোনও দোষ নেই। কিন্তু, তিনি যে মিথ্যা বলছেন তা প্রমাণ হতেই আদালত অভিযুক্তকে দুটি পৃথক ধারায় যাব্বজীবন ও দশ বছরের জেলের সাজা দেন চন্দননগরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কাজি আবুল হাসেম। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে ২১ নভেম্বর। চন্দননগর থানায় এক শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তাঁরই প্রতিবেশী এক প্রৌঢ় শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। পুলিশ পকসো আইনে ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬/এ,বি ধারায় মামলা রুজু করে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত। চলতি মাসের ১৮ অগস্ট এই মামলায় অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে দোষী সাব্যস্ত করে চন্দননগর আদালত। একইসঙ্গে মিথ্য়া সাক্ষ্য দিয়ে অভিযুক্তকে বাঁচানোর অভিযোগে কড়া শাস্তি দেওয়া হয় শিশুটির বাবাকেও।