হুগলি: ২৫ জন বাঙালি ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনে যুক্ত। এরমধ্যে রয়েছেন হুগলির পাণ্ডুয়ার শশীভূষণ সাহা স্কুলের ছাত্র মোশারফ হোসেনও। বীরভূম মুরারইয়ের বিলাসপুর গ্রামের ছেলে হলেও মোশারফের দাদা মহম্মদ মণিরুল জমান পড়তেন হুগলির খন্যান কলেজে। মোশারফ সেখানকারই শশীভূষণ সাহা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়েছেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। ১৯৯২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বীরভূমের সাঁইথিয়া অভেদানন্দ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, তারপর দিল্লি আইআইটি থেকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোতে যোগদান।
১৭ বছর ইসরোর সঙ্গে যুক্ত মোশারফ হোসেন। সিনিয়র সায়েন্টিস্ট পদে কাজ করছেন তিনি। চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রজেক্টে বিক্রমের তিনটে পেলোড আছে। তার মধ্যে একটি হল রম্ভা এলপি। সেই রম্ভা এলপির সায়েন্স ডিরেক্টর হিসাবে ছিলেন মোশারফ। চাঁদের আয়ন ইলেক্ট্রন টেমপারেচার ও ডেনসিটি মাপে রম্ভা এলপি। চাঁদের আবহাওয়া বুঝতে এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে সফ্টওয়ার ধরে চাঁদের ডেটা এসে পৌঁছবে, তা তৈরিতে মোশারফের অবদান রয়েছে।
পান্ডুয়া শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সঞ্জীব ঘোষ। তিনি বলেন, “শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ইসরোতে রয়েছেন, আমাদের কাছে খুবই গর্বের এটা।” তিনিই জানান, চার বছর এই স্কুলে পড়াশোনা করার সময় পাণ্ডুয়ার কলবাজার এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।