চুঁচুড়া: নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে। অথচ যাঁদের জায়গায় হচ্ছে তাঁরা জানেন না, যাঁরা ভাড়ায় থাকে তাঁরাও জানেন না। স্থানীয় লোকজন বলছেন, একেবারে ‘ভূতুড়ে’ কারবার চলছে চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ডে। পুরসভার কাছেও কোনও খবর ছিল না বলে অভিযোগ। বাস স্ট্যান্ডে বিভিন্ন রুটের বাসের যে অফিস চলে, সেই অফিসের জানালা কাউকে না জানিয়েই ইট দিয়ে গেঁথে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রুটের বাসের টাইম অফিস চলে ওই ঘরগুলিতে। প্রতি মাসে প্রতিমাসে চুঁচুড়া পুরসভাকে ভাড়াও দেন বাসের মালিকেরা। সেখানে অনেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে। কীভাবে কাউকে না জানিয়ে ওই নির্মাণ কাজ চলল, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
অভিযোগ, হঠাৎই দেখা যায় অফিসগুলোর পিছন দিকের জানালা ভেঙে ইট গেঁথে দেওয়া হচ্ছে। এরপর বাস মালিকরা পুরসভাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। পুরসভার পূর্ত বিভাগের সিআইসি সৌমিত্র ঘোষ জানান, বাস মালিকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই তাঁরা ঘটনাস্থলে পাঠান আধিকারিকদের। কী হচ্ছে দেখতে পাঠানো হয় পুরসভার কর্মী ও ইঞ্জিনিয়ারদের। পুরসভার কর্মচারীরাও জানান, কোনও অনুমতি না নিয়েই চলছিল ওই কাজ। এরপর কাজ বন্ধ করতে বলা হয়।
বাস মালিকদের দাবি, ওই অফিসগুলির উপরে একটি হোটেল রয়েছে। সেই হোটেলের মালিকেরাই এই কাজ করেছে। হোটেলের কর্মচারী মহম্মদ সাহেব দাবি করেন, মৌখিকভাবে এই নির্মাণের কথা জানানো হয়েছিল বাস মালিকদের। তবে লিখিতভাবে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।
দেবব্রত ভৌমিক নামে এক বাস মালিক জানিয়েছেন, চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৫০টি বাস চলে। তাদের কাগজপত্রও থাকে সেখানে। রাজমিস্ত্রিদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরাও কিছু বলতে পারেননি। চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, বেআইনি কাজ হচ্ছে, এই খবর পেয়ে ইঞ্জিনিয়ার বাস স্ট্যান্ডে যান। তাঁরা এসে যা বলেছেন, তাতে বেআইনিভাবে নির্মাণ হচ্ছিল এটা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই কাজ বন্ধ করতে নোটিস দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে।