ফুরফুরা: দিনভর টানটান উত্তেজনা ফুরফুরায়। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর বাড়িতে ঢিল মারার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে নওশাদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল বচসা। মেজাজ হারাতেও দেখা গেল নওশাদকে। দিনভরের গোলমালের পর পুলিশ সুপারও বলছেন, আইএসএফ ইটবৃষ্টি শুরু করেছিল। পুলিশ পাল্টা কাদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে। নওশাদ যে উর্দিধারীদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করেছেন, সেও কথাও উঠে আসে এসপির বক্তব্য। তবে নওশাদ তাঁর বাড়িতে ঢিল মারার যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটি কারা করেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ বলেই মনে করছেন পুলিশ সুপার। এদিকে ফুরফুরার গোলমালের মধ্যে পীরজাদাদের আড়াআড়ি বিভাজন? এমন প্রশ্নও উঠে আসতে শুরু করেছে।
নওশাদ সিদ্দিকী যেমন সংবাদমাধ্যমে একরাশ ক্ষোভ উগরে আজ বলেই দিয়েছেন, ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে আলোচনা করে কোনও লাভ হবে না। আবার কাশেম সিদ্দিকী প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, ‘কেন ফুরফুরার পীরবাড়িতে অত্যাচার হল? তার কৈফিয়ত দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীকে।’ মুখ্যমন্ত্রী যাতে অবিলম্বে ক্ষমা চান, সেই দাবিও তুলেছেন কাশেম সিদ্দিকী। হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফুরফুরা-সহ বাংলার প্রতিটি জায়গায় অবরোধ চলবে।
যদিও পীরজাদাদের বাড়িতে ঢিল মারার যে অভিযোগ উঠে আসছে, তা একেবারেই মানছেন না ত্বহা সিদ্দিকী। প্রশ্ন করতেই সটান উত্তর, ‘একদম বাজে কথা।’ তাঁর আবার বক্তব্য, এই গোলমালের সঙ্গে ফুরফুরার মানুষের কোনও যোগ নেই। বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসেই ফুরফুরায় গোলমাল পাকানো হচ্ছে বলে দাবি ত্বহার। মুখ্যমন্ত্রী যাতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন, সেই অনুরোধও করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এলাকায় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান শামিম আহমেদ এবার জেলা পরিষদে জিতেছেন। সেই কারণে তাঁকে বদনাম করতেই এই ধরনের গোলমাল পাকানো হচ্ছে। গোলমালের মধ্যে তৃণমূলের কেউ ছিল না বলেও জোরালো দাবি করেন ত্বহা সিদ্দিকী।
এদিকে আবার ত্বহার এমন দাবি শুনে তাঁকে ‘তৃণমূলের দালাল’ বলে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন কাশেম সিদ্দিকী। ত্বহাকে খোঁচা দিয়ে কাশেম সিদ্দিকীর বক্তব্য, ‘সকাল-সন্ধে শামিমকে নিয়ে ঘুরছেন। কালও রাত ২টো পর্যন্ত শামিলকে নিয়ে ঘুরেছেন। ত্বহা সাহেব, শামিম আহমেদ আর থানার ওসির বৈঠকে কী সেটলমেন্ট হয়েছে, সব ভিডিয়ো আমার কাছে আছে। উনি একজন তৃণমূলের দালাল।’