চন্দননগর: শিশুকে ধর্ষণের পর তার শরীরে জল ঢেলে প্রমাণ লোপাট করতে চেয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু ঢোপে টিকল না কিছুই। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চন্দননগর আদালতের বিচারক কাজী আবুল হাসেম তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শনিবার দোষীকে যাবজ্জীবন সাজা দিল আদালত।
সালটা ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর। ওই দিন বিকেল নাগাদ চন্দননগরে নিজের পাড়ায় খেলতে বের হয় চার বছরের শিশু। প্রতিবেশী তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও বাড়ির মেয়ে ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয় তার। পরে ভিজা জামায় বাড়িতে আসে শিশুটি। মাকে জানায়, প্রৌঢ়ের কুকর্মের কথা। শুধু তাই নয়, শিশুটির শরীরে যে জল ঢেলেছিল অভিযুক্ত সে কথাও বলে সে।
এরপর চন্দননগর থানায় লিখিত অভিযোগ হয় প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। চার্জশিট জমা দেওয়ার পর মামলার ট্রায়াল শুরু হয়। শুক্রবার চন্দননগর আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কাজী আবুল হাসেম ধৃত দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ বিচারক যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন।
চন্দননগর আদালতের সরকারি আইনজীবী গোপাল পাত্র বলেন, “এই মামলায় স্পেশাল পিপি হিসাবে অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী মামলা লড়েছেন। বিচারক দোষীকে পকসো আইনে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন। ৩৭৬/এ,বি ধারায় দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাস জেলের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা চাই এধরনের অপরাধ যারা করে তারা এই সাজা দেখে যেন শিক্ষা নেয়। পকসো মামলায় দ্রুত এবং ক্যামেরা ট্রায়াল হয়। তাই চার বছরের কম সময়ে এই মামলার নিষ্পত্তি হল।”