পুরশুড়া: তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলি জেলার পুরশুড়ায। সংঘর্ষে আহত উভয় পক্ষের দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। পঞ্চায়েত গঠন প্রক্রিয়া শেষ হতে না হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পুরশুড়ার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুঁয়েরা এলাকা। সংঘর্ষের জেরে দুই পক্ষেরই কয়েকজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর মালিক ও বিজেপি কর্মী রজনীকান্ত পোড়েল। রজনীকান্তের চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মী সমর মালিককে মারধর করে রডের ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির বেশ কিছু দুষ্কৃতী তৃণমূলের এক কর্মীকে বেধরড়ক মারধর করে। সেই সঙ্গে লোহার রড পুড়িয়ে তাদের কর্মীকে ছ্যাঁকা দেয়। এলোপাথারি ভাবে লোহার রড দিয়ে পায়ে বুকে মারধর করে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের তৎপরতায় ঐ আহত কর্মীকে প্রথমে পুরশুড়া থানায় নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসার জন্য পুরশুড়া ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান তারা।কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঐ তৃণমূল কর্মী সমর মালিককে আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান জয়দেব জানা বলেছেন, “বিজেপি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে এই সব ঘটনা ঘটিয়ে পুরশুড়ায় আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে। তৃণমূল এই সব অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য করবে না। আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।”
অপর দিকে বিজেপির পুরশুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “বিজেপি তো অনেক জায়গায় জিতেছে। কোথায় কোথায় আক্রমন করেছে দেখুন। এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর নিজেদের দোষ ঢাকতে ও মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাতে আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে। ওরাই মারধর করে বেড়াচ্ছে। আমরা পাল্টা আক্রমণ করলে ওরা সামাল দিতে পারবে তো?”