চণ্ডিতলা: প্রধান পদ পেতে তৃণমূল নেতাদের দিতে হবে লক্ষাধিক টাকা। দুই তৃণমূল নেতা-নেত্রীর ফোনের কথোপকথন ভাইরাল হুগলির চণ্ডিতলায়। যদিও, ভাইরাল অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।
ভাইরাল হওয়া কথোপকথনে একটি মহিলা কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। তিনি চণ্ডিতলা দুই নম্বর ব্লকের বাকসা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের জয়ী সদস্য মমতা মালিক। অপর প্রান্তের পুরুষকণ্ঠটি দলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় মান্নার। অডিয়োয় শোনা যাচ্ছে একে অপরকে বলছে, “যেমন টাকা বের করতে পারবে তেমন পদ মিলবে”
সঞ্জয় জানান, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে জয়ী সদস্য মমতা মালিকের বাড়িতে যান জেলা পরিষদের জয়ী সদস্য অর্পিতা কুণ্ডু হালদার সহ দলেরই বেশ কয়েকজন। প্রধান, উপ প্রধানের পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকার দাবি করেন তাঁরাই। পরে সাফাইয়ের সুরে তিনি বলেন যে, ভোটাভুটির মাধ্যমে এলাকার প্রধান হয়েছেন পঙ্কজ ঘোষ এবং উপ প্রধান হয়েছেন সীমা সী। টাকা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলে জানান সঞ্জয় মান্না।
চণ্ডিতলা দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, “টাকা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে।” সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অর্পিতা কুণ্ডু হালদার বলেন, “আমি কোনও বিতর্কে যেতে চাই না। আমার কাছেও অনেক ভিডিয়ো আছে। তবে দলের বিরুদ্ধে যাব না। রাজনীতি এখন এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে কেউ খেলতে চাইছে, কেউ খেলাচ্ছে আর কেউ মহড়া হচ্ছে।আমার কোনও ব্যাড রিপোর্ট নেই। রাজনীতি আমার নেশা,পেশা নয়।”
যদিও অডিও প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল দলটা যাঁরা করছেন তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য কীভাবে টাকা ইনকাম করবে। তৃণমুল কংগ্রেসের জন প্রতিনিধিরা মানুষের উন্নয়ন না করে নিজেদের উন্নয়ন করে সেটা নিচ থেকে উপর তলা পযন্ত।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন চলার সময় প্রধান পদ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। দলের একাংশের দাবি ছিল প্রধান করা হবে শঙ্কর ঘোষকে অন্যদিকে দলের আর একাংশের দাবি ভোটাভুটি করেই প্রধান নির্বাচন করা হোক। এই নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়ায় দুই গোষ্ঠী।
অবশেষে ভোটাভুটির মাধ্যমেই প্রধান নির্বাচিত হন পঙ্কজ ঘোষ এবং উপ প্রধান নির্বাচিত হন সীমা সী। এই পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫ টি যার মধ্যে তৃণমূল পায় ১০ টি সিপিএম এবং বিজেপি পায় ২ টি করে আসন এবং ১ টি আসন পায় নির্দল। যদিও ভোটাভুটিতে সিপিএম এবং বিজেপি অংশ গ্রহন করেনি।
চণ্ডিতলা: প্রধান পদ পেতে তৃণমূল নেতাদের দিতে হবে লক্ষাধিক টাকা। দুই তৃণমূল নেতা-নেত্রীর ফোনের কথোপকথন ভাইরাল হুগলির চণ্ডিতলায়। যদিও, ভাইরাল অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।
ভাইরাল হওয়া কথোপকথনে একটি মহিলা কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে। তিনি চণ্ডিতলা দুই নম্বর ব্লকের বাকসা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের জয়ী সদস্য মমতা মালিক। অপর প্রান্তের পুরুষকণ্ঠটি দলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় মান্নার। অডিয়োয় শোনা যাচ্ছে একে অপরকে বলছে, “যেমন টাকা বের করতে পারবে তেমন পদ মিলবে”
সঞ্জয় জানান, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে জয়ী সদস্য মমতা মালিকের বাড়িতে যান জেলা পরিষদের জয়ী সদস্য অর্পিতা কুণ্ডু হালদার সহ দলেরই বেশ কয়েকজন। প্রধান, উপ প্রধানের পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকার দাবি করেন তাঁরাই। পরে সাফাইয়ের সুরে তিনি বলেন যে, ভোটাভুটির মাধ্যমে এলাকার প্রধান হয়েছেন পঙ্কজ ঘোষ এবং উপ প্রধান হয়েছেন সীমা সী। টাকা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলে জানান সঞ্জয় মান্না।
চণ্ডিতলা দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, “টাকা চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে।” সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অর্পিতা কুণ্ডু হালদার বলেন, “আমি কোনও বিতর্কে যেতে চাই না। আমার কাছেও অনেক ভিডিয়ো আছে। তবে দলের বিরুদ্ধে যাব না। রাজনীতি এখন এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে কেউ খেলতে চাইছে, কেউ খেলাচ্ছে আর কেউ মহড়া হচ্ছে।আমার কোনও ব্যাড রিপোর্ট নেই। রাজনীতি আমার নেশা,পেশা নয়।”
যদিও অডিও প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল দলটা যাঁরা করছেন তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য কীভাবে টাকা ইনকাম করবে। তৃণমুল কংগ্রেসের জন প্রতিনিধিরা মানুষের উন্নয়ন না করে নিজেদের উন্নয়ন করে সেটা নিচ থেকে উপর তলা পযন্ত।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন চলার সময় প্রধান পদ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। দলের একাংশের দাবি ছিল প্রধান করা হবে শঙ্কর ঘোষকে অন্যদিকে দলের আর একাংশের দাবি ভোটাভুটি করেই প্রধান নির্বাচন করা হোক। এই নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়ায় দুই গোষ্ঠী।
অবশেষে ভোটাভুটির মাধ্যমেই প্রধান নির্বাচিত হন পঙ্কজ ঘোষ এবং উপ প্রধান নির্বাচিত হন সীমা সী। এই পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৫ টি যার মধ্যে তৃণমূল পায় ১০ টি সিপিএম এবং বিজেপি পায় ২ টি করে আসন এবং ১ টি আসন পায় নির্দল। যদিও ভোটাভুটিতে সিপিএম এবং বিজেপি অংশ গ্রহন করেনি।