হাওড়া: পোড়া মঙ্গলাহাটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। শান্তিরঞ্জন দে নামে ওই ব্যবসায়ীকে সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি নিজেকে পোড়া মঙ্গলাহাটের মালিক বলে দাবি করতেন। তাঁর জমিতেই নাকি চলত ওই হাট। তবে, ঘটনার পর থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত চলছিল। কোথা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ২০ জুলাই রাতের আগুনে ওই হাটের হাজার হাজার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গভীর রাতে যে আগুন লেগেছিল, তা ছড়িয়ে পড়েছিল হাটের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে। প্রায় সারারাত ধরে জ্বলেছিল সেই আগুন। ওই ঘটনার পর ব্যবসায়ীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, শান্তিরঞ্জনের পরিকল্পনা রয়েছে ওই জায়গায় হাট তুলে দিয়ে কোনও বড় নির্মাণকাজ করার। সে কারণেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান ছিল ব্যবসায়ীদের। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালাচ্ছিল সিআইডি। আজ, মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হবে শান্তিরঞ্জনকে।
সোমবার আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায়। সন্দেহভাজন হিসেবে ধানু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাওড়া থানার পুলিশ। ধানু নামে ওই ব্যক্তি ওড়িশার বাসিন্দা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ধানুর কাজ ছিল মাল জমা রাখা। গত ২০ জুলাই রাতে যে আগুন লাগে তাতে ধানুর দোকান বাদ পড়ে। শুধু তাই নয়, দেড়শ বস্তা জিনিস সরিয়েও নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার পর থেকে মোবাইল বন্ধ ছিল ধানুর। সে কারণেই সন্দেহ হয় অন্যান্য ব্যবসায়ীদের। সিআইডি-ও পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও গ্রেফতার করা হয়।