হাওড়া: পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বিটেক। ইসরোর সর্বভারতীয় পরীক্ষায় প্রথমবারই ১৮ র্যাঙ্ক করেন হাওড়ার ইনসা ইরাজ। এরপর ধাপে ধাপে সাফল্যের উড়ান নিয়েছে ইরাজের স্বপ্ন। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর হাওড়ার শেখপাড়ায় মহম্মদ কামালউদ্দিনের পরিবারে খুশির হাওয়া। ইরাজের মা নিলুফার বলেন, “আজ গর্বের সঙ্গে বলছি মেরা ভারত মহান। শুধু আমার ছেলে নয়, ইসরোর প্রত্যেক বিজ্ঞানীর এই সাফল্য। টিম ইসরো নিয়েই আমাদের গর্ব হচ্ছে।”
হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ২০১৫ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাস করেন ইনসা ইরাজ। ২০১৬ সালে ইসরোর সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সাফল্য। ২০১৭ সালে ইসরোতে গবেষক হিসাবে যোগ দেন। এরপর বিভিন্ন মিশন চোখের সামনে থেকে দেখেছেন। বুধবার যখন চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখল, আলতো করে নেমে এল ল্যান্ডার বিক্রম, ইরাজের বাবা-মায়ের চোখ তখন টেলিভিশনের পর্দায়। ইরাজের বাবা বলছিলেন, “শেষের ১০ মিনিট যে কী হচ্ছিল, বলে বোঝাতে পারব না।”
ইসরোতে কাজে যোগ দেওয়ার পর শ্রীহরিকোটায় সরকারি ফ্ল্যাটেই থাকেন ইরাজ। সারাদিন কাজ নিয়েই ব্যস্ততা। কিছুদিন আগে ইরাজ বাবা হয়েছেন। সেই সময় হাওড়ায় এসেছিলেন। বাড়িতে মা, বাবার সঙ্গে দেখা করে যান। তবে ছেলে কোনওদিনই কাজ নিয়ে বাড়িতে কথা বলে না, বলছিলেন মা। মা-ছেলের ফোনালাপ মানেই, বাড়িতে কী রান্না হয়েছে আর ছেলে কী খেয়েছে, কেমন আছে সকলে।
মহম্মদ কামালউদ্দিন বলেন, “চাইব ভবিষ্যতে আরও ভাল কাজ করুক ছেলে। এতদিন ধরে শুধু দোয়া করে গিয়েছি, যেন এই মিশন সফল হয়। এই ক’টা দিন নমাজে বারবার দোয়া চেয়েছি এই মিশনের সাফল্য চেয়ে। আমাদের বিশ্বাস ছিল এটা সফল হবেই।”