হাওড়া: কলকাতায় এক আশ্রমের খোঁজ তাঁকে দিয়েছিলেন কেউ। সর্বস্ব খুইয়ে মাত্র ১০ হাজার টাকা সম্বল করে শহরের পথে পথে ঘুরে সেই আশ্রমের খোঁজও করেন তিনি। কিন্তু কোথায় আশ্রম! রাস্তাতেই রাত কাটাতে কাটাতে খোয়া যায় সেই ১০ হাজার টাকাও। আর উপায় না দেখে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। চলে যান সোজা হাওড়া ব্রিজে। অবশেষে এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর চেষ্টায় উদ্ধার করা হয় সেই বৃদ্ধাকে। তাঁর থাকার বন্দোবস্তও করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই বৃদ্ধার নাম শ্যামলা। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের ধর্মাভরম জেলার তেহেরু বাজার গ্রামের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশে বাড়ি হলেও স্বামীর মৃত্যুর পর সব সম্পত্তি বিক্রি করে মুম্বই চলে গিয়েছিলেন তিনি। বছর কয়েক সেখানেই ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঠিক করেন শেষ বয়সটা কোনও আশ্রমে কাটাবেন। এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন, কলকাতায় রয়েছে এক আশ্রম। বৃদ্ধাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা ওই ব্যক্তি নিয়ে নেন বলেও অভিযোগ।
গত বুধবার হাওড়া ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তার ঠিক আগেই তাঁকে উদ্ধার করে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী। তাঁকে হাওড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে একটি মন্দিরে অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এরপর বৃদ্ধার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য হ্যাম রেডিও বা ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবে খবর দেওয়া হয়।
ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই তাঁরা ওই বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলে প্রথমে অন্ধ্রপ্রদেশে তাঁর পরিবারের খোঁজ করেন। জানা যায়, সেখানে আর কেউ থাকেন না। পরে হাওড়া সিটি পুলিশের সাহায্য নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।