হাওড়া: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে জায়গায় জায়গায় উত্তেজনার ছবি সামনে আসছে। কোথাও শাসক-বিরোধীর মধ্যে ঝামেলার অভিযোগ, কোথাও আবার শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর অশান্তিতে তুলকালাম এলাকা। সাঁকরাইলের পাঁচপাড়া গ্রামপঞ্চায়েত। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা যখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে যাচ্ছিলেন, সেইসময় বাইরে মুখে কাপড় বাঁধা একদল আটকে দেয়। অভিযোগ, মুখে কাপড় বাধা লোকজন তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠী। তাদের লোকজন ভোটে জিততে পারেনি। এ নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। যদিও পরে সমস্ত ঝামেলা মিটিয়ে পাঁচপাড়া পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস।
পাঁচপাড়া পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে ১৫টি পেয়েছিল তৃণমূল। তারপরও বোর্ড গঠনের দিন সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পাঁচপাড়া পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর ঝামেলার ফলে বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ হতে বসেছিল। যদিও পরে তা গঠন করা হয়।
অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ হাওড়ার বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরীর অনুগামী ও বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান মিনু মুমতাজের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তার জেরেই মোট ১৫টি আসন ৯ ও ৬-এ বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, তা নিয়েই সকাল থেকে অশান্তি। বিদায়ী প্রধানের পক্ষের লোকজনই জয়ী হন ভোটে।
বৃহস্পতিবার তাঁদের পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকী মুখে কাপড় বেধে ফাইল কেড়ে নেওয়া, পঞ্চায়েত অফিসের সামনে থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত রয়েছে। এদিন ১৫ জন জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে একেবারে নয় ছয় ভাগাভাগি হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ভোট গঠনের ভোটাভুটিতে মিনু মমতাজের আধিপত্যই কায়েম হয় এবং তিনি পাঁচপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন। তবে এ নিয়ে বিধায়কের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।