হাওড়া: জলপাইগুড়ি রুটের টিকিট নিয়ে হাওড়া স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। সময় হলেও দেখা মিলল না বন্দে ভারতের। প্রায় এক ঘণ্টা বাদে একটি ট্রেন আসে, তবে সেটা বন্দে ভারত নয়। রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় বন্দে ভারতে যান্ত্রিক ত্রুটি মিলেছে, তাই তাই ট্রেন দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেমি হাই স্পিড ট্রেনের বদলে কেন অন্য ট্রেনে উঠতে হবে, তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। এদিকে, সকালে এই বন্দে ভারতেই মালদহ যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। তিনিও এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে বিকল্প ট্রেনেই যাত্রা করেন। মালদহের মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই মালদহ যাচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাঁদের দাবি, বিকল্প বলা হলেও ওই ট্রেনে বন্দে ভারতের মতো সুযোগ সুবিধা নেই।
রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পরীক্ষার সময় দেখা গিয়েছে ইঞ্জিনের গিয়ার ফাংশনে কিছু সমস্যা হয়েছে বন্দে ভারতে। যান্ত্রিক ত্রুটি থাকাতেই বিকল্প হিসেবে এই স্পেশাল ট্রেন পাঠানো হয়েছে। রেলের আধিকারিকদের দাবি, বন্দে ভারতে যে সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে, তার সবই পাওয়া যাবে এই ট্রেনে। গতিও একই থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেনের ভিতরে একাধিক সমস্যা রয়েছে। পানীয় জলও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের দাবি, ট্রেনের গতি এবং বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধার জন্যই বন্দে ভারতের টিকিট কেটেছিলেন তাঁরা, কিন্তু ওই ট্রেন না চলায় অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে ঠিকই, তবে সেই ট্রেন আরও ভাল হওয়া দরকার ছিল বলে মন্তব্য করেছেন যাত্রীরা। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, বন্দে ভারত নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা করার সময়ই যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া যায়। তাঁর দাবি, রেলের কাছে যাত্রী সুরক্ষাই শেষ কথা, সে কারণে বন্দে ভারতের পরিবর্তে অন্য ট্রেন পাঠানো হয়েছে। বিকল্প ট্রেনটি যাতে দ্রুততর গতিতে চলে তার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করা হয়েছে রেলের তরফে। সে কারণেই ট্রেনটি পাঠাতে এক ঘণ্টা দেরী হয় বলেও জানিয়েছেন ডিআরএম। সকাল ৬ টা বন্দে ভারত ছাড়ার কথা ছিল, পরে বিকল্প ট্রেনটি সকাল ৭টায় হাওড়া স্টেশনের ৭ নম্বর প্লাটফর্ম ছাড়ে।