জলপাইগুড়ি: সাফল্যের ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিল জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (Jalpaiguri Government Engineering College)। প্রজেক্ট চন্দ্রযানে কলেজের ৬ কৃতী ছাত্র। খুশিতে হাজার দুয়েক লাড্ডু বিতরণ জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষের। খুশির হাওয়া গোটা শহরে।
চাঁদ ছুঁয়েছে বিক্রম। এই সফল অবতরণের নেপথ্যে যে বিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৬ পড়ুয়া। এরা হলেন কৌশিক নাগ, নিরঞ্জন কুমার, সঞ্জয় দলুই, অমরনাথ নন্দী, সৌমিক সরখেল, মুকুন্দ কুমার ঠাকুর। ছাত্রদের কৃতিত্বে গর্বিত কলেজের অধ্যাপকেরা। বৃহস্পতিবার বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সেই সাফল্যের উদযাপন করলেন অধ্যক্ষ থেকে অধ্যাপকেরা। কয়েক হাজার লাড্ডু বিতরণ হল জলপাইগুড়ি গভমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। সূত্রের খবর, ৬ কৃতী ছাত্র ফিরলেই তাঁদের সংবর্ধনায় বিশেষ আয়োজন করতে চলেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৬ কৃতীর সাফল্যের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উচ্ছাসের ছবি গোটা শহরজুড়েই। কর্তৃপক্ষকে সংবর্ধনা জানাতে কলেজে ফুল মিষ্টি নিয়ে ছুটে যান লায়ন্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ি জেনেসিসের সদস্যরা। অন্যদিকে কলেজে উদযাপন শেষে অন্যান্য অধ্যাপকদের নিয়ে জলপাইগুড়ির কৃতী ছাত্র কৌশিক নাগের বাড়িতে ছুটে যান জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল অমিতাভ রায়। সেখানে পৌঁছে তার মা সোনালী নাগকে অভিনন্দনও জানান তাঁরা। করেন মিষ্টি মুখ।
ছেলের সাফল্যের খবর আজ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। গর্বিত সোনালী দেবীও। বলেন, “আজ কলেজের প্রিন্সিপাল এসেছিলেন। খুব ভাল লাগছে। আমি চাই কলেজের সব ছাত্রই যেন এভাবে এগিয়ে গিয়ে কলেজের মুখ উজ্জ্বল করে।” প্রিন্সিপাল অমিতাভ রায় বলেন, মিশন চন্দ্রযানে আমাদের কলেজের কৌশিক সহ মোট ছয় ছাত্রের সাফল্যে আমরা গর্বিত। বর্তমান ছাত্ররাও তাঁদের সিনিয়রদের সাফল্য়ে উচ্ছ্বসিত। আগামীতে যাঁরা এই কলেজে ভর্তি হবেন তাঁরাও কৌশিকদের সাফল্যে গর্ববোধ করবেন।