Jalpaiguri BJP: বহিষ্কৃত পদ্ম নেতাকে রাস্তায় ফেলে লাথালাথি বিজেপির জেলা সভাপতির! মুখে কুলুপ নেতাদের

Nileswar Sanyal | Edited By: Soumya Saha

Aug 18, 2023 | 12:07 AM

Dhupguri By-Election: বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে লাথালাথির সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে সেভাবে মুখও খুলতে চাইছেন না কেউ।

Follow Us

জলপাইগুড়ি: দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ গত বছরের জুলাইয়ে বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ধূপগুড়ির অলোক চক্রবর্তী। এবার সেই বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে লাথি মারার অভিযোগ দলের বর্তমান জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর বিরুদ্ধে। বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে লাথালাথির সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে সেভাবে মুখও খুলতে চাইছেন না কেউ।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। সামনেই ধূপগুড়ির বিধানসভা উপনির্বাচন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে তাপসী রায়কে। দলের প্রার্থীকে নিয়ে এদিন মনোনয়ন জমা দিতে বেরিয়েছিলেন বিজেপির নেতারা। প্রথম সারির অনেক নেতারাই ছিলেন মিছিলে। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষরা ছিলেন সেখানে। পাশাপাশি মনোজ টিগ্গা, রাজু বিস্তা, জয়ন্তকুমার রায়ের মতো দলের তাবড় বিধায়ক-সাংসদরাও ছিলেন মিছিলে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জেলা অফিস থেকে মিছিল বেরনোর কিছু সময় পরেই ঘটে যায় এই বিপত্তি। একেবারে ছন্দপতন বলা যায়।

হঠাৎ করেই মিছিলের সামনে চলে আসেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা অলোকবাবু। হাতে ফুলের স্তবক। উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই হঠাৎ ভিড়ের মধ্য থেকে কেউ তাঁকে ধাক্কা মারেন। রাস্তায় উল্টে পড়ে যান অলোকবাবু। তারপরই দু’টি পা ধেয়ে আসে অলোকবাবুর দিকে। অভিযোগ, সেই দু’টি পা ছিল দলের জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর ও যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে আবার রাস্তা থেকে উঠে একপাশে সরে যান অলোকবাবু। গোটা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও হয়।

বৃহস্পতিবারের ঘটনায় বেজায় চটেছেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী। বাপি গোস্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চড়িয়ে তিনি বলছেন, ‘জেলা সভাপতি আজ যে কাণ্ড ঘটালেন, তা বিজেপির ইতিহাসে কোনওদিন ঘটেনি।’ ঘটনায় বেশ অপমানিত বোধ করছেন অলোকবাবু। বলছেন, তিনি প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন মাত্র। সেখানে জেলা সভাপতির এমন কাণ্ডের বিরোধিতায় যাতে সকলে সরব হন, সেই আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে দুপুরের লাথালাথির ঘটনা নিয়ে জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়ের সঙ্গেও। প্রার্থীর সঙ্গে এদিন মিছিলে তিনিও ছিলেন। গোটা ঘটনার সাক্ষী তিনিও। তবে তিনিও বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাইছেন না। দুপুরের ঘটনাকে দুই নেতার ব্যক্তিগত বিষয় বলেই এড়িয়ে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ।

তবে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে। জেলার তৃণমূল নেতা তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলছেন, এভাবে রাস্তায় কাউকে প্রকাশ্যে হেনস্থা করা একেবারেই ঠিক নয়। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি উপনির্বাচনে হারবে, সেটা জেনেই নার্ভাস হয়ে এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে।

জলপাইগুড়ি: দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ গত বছরের জুলাইয়ে বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ধূপগুড়ির অলোক চক্রবর্তী। এবার সেই বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে লাথি মারার অভিযোগ দলের বর্তমান জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর বিরুদ্ধে। বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে লাথালাথির সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে সেভাবে মুখও খুলতে চাইছেন না কেউ।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। সামনেই ধূপগুড়ির বিধানসভা উপনির্বাচন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে তাপসী রায়কে। দলের প্রার্থীকে নিয়ে এদিন মনোনয়ন জমা দিতে বেরিয়েছিলেন বিজেপির নেতারা। প্রথম সারির অনেক নেতারাই ছিলেন মিছিলে। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষরা ছিলেন সেখানে। পাশাপাশি মনোজ টিগ্গা, রাজু বিস্তা, জয়ন্তকুমার রায়ের মতো দলের তাবড় বিধায়ক-সাংসদরাও ছিলেন মিছিলে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জেলা অফিস থেকে মিছিল বেরনোর কিছু সময় পরেই ঘটে যায় এই বিপত্তি। একেবারে ছন্দপতন বলা যায়।

হঠাৎ করেই মিছিলের সামনে চলে আসেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা অলোকবাবু। হাতে ফুলের স্তবক। উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই হঠাৎ ভিড়ের মধ্য থেকে কেউ তাঁকে ধাক্কা মারেন। রাস্তায় উল্টে পড়ে যান অলোকবাবু। তারপরই দু’টি পা ধেয়ে আসে অলোকবাবুর দিকে। অভিযোগ, সেই দু’টি পা ছিল দলের জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর ও যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে আবার রাস্তা থেকে উঠে একপাশে সরে যান অলোকবাবু। গোটা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও হয়।

বৃহস্পতিবারের ঘটনায় বেজায় চটেছেন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী। বাপি গোস্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর চড়িয়ে তিনি বলছেন, ‘জেলা সভাপতি আজ যে কাণ্ড ঘটালেন, তা বিজেপির ইতিহাসে কোনওদিন ঘটেনি।’ ঘটনায় বেশ অপমানিত বোধ করছেন অলোকবাবু। বলছেন, তিনি প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন মাত্র। সেখানে জেলা সভাপতির এমন কাণ্ডের বিরোধিতায় যাতে সকলে সরব হন, সেই আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে দুপুরের লাথালাথির ঘটনা নিয়ে জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়ের সঙ্গেও। প্রার্থীর সঙ্গে এদিন মিছিলে তিনিও ছিলেন। গোটা ঘটনার সাক্ষী তিনিও। তবে তিনিও বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাইছেন না। দুপুরের ঘটনাকে দুই নেতার ব্যক্তিগত বিষয় বলেই এড়িয়ে যাচ্ছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ।

তবে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে। জেলার তৃণমূল নেতা তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলছেন, এভাবে রাস্তায় কাউকে প্রকাশ্যে হেনস্থা করা একেবারেই ঠিক নয়। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি উপনির্বাচনে হারবে, সেটা জেনেই নার্ভাস হয়ে এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে।

Next Article