জলপাইগুড়ি: দিব্যি চলছিল সাইকেল। আচমকাই আটকে যায় চাকা। নীচে তাকাতেই সাক্ষাৎ মৃত্যুদূতের মুখোমুখি হয়ে হাড়হিম হয়ে গেল দুই যুবকের। বিপদ যে এভাবেও আসতে পারে ভেবেই শিউরে উঠেছেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লী গ্রামের দুই যুবক নবীন রায় ও ঝিনুক মণ্ডল। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে এখন করছেন ভগবানের নাম।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আচমকা আটকে যায় সাইকেলের চাকা। চারপাশে তখন ঘুটঘুটে অন্ধকার। মোবাইলের আলো চাকায় ফেলতেই চক্ষু চড়কগাছ। চাকায় জড়িয়ে রয়েছে বিষধর গোখরো। দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওঠেন যুবকেরা। মুহুর্তের মধ্যে ভিড় জমে যায় এলাকায়। এরপর পরিবেশ কর্মীরা এসে চাকার স্পকে আটকে থাকা প্রায় সাড়ে চার ফুট লম্বা গোখরো সাপটিকে উদ্ধার করেন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।
তাঁরা স্পষ্টতই বলছেন, সাপটি যেভাবে ফনা বাড়িয়ে ছিল তাতে যে কোনও সময় বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। বর্ষার মরশুমে অন্ধকার রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ কর্মীরা। পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দও চৌধুরী বলেছে, এটা স্ত্রী গোখরো। ছোবল দিলেই বিপদ হতে পারতো। কপাল জোরে বেঁচে গিয়েছেন সাইকেল আরোহী। অক্ষত অবস্থায় সাপটিকে উদ্ধারের পর উপযুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।