ধূপগুড়ি: দল আর নির্দলের লড়াই পঞ্চায়েতে একাধিক জায়গায় দেখেছে বাংলা। এবার বিধানসভা উপ নির্বাচনেও দেখা যাবে সেই ছবি! ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে ইতিমধ্যেই। তার ঠিক একদিন পরই নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন তারামণি রায়। বিজেপির সঙ্গে তারামণির দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা জানেন এলাকার মানুষ। পঞ্চায়েতের সদস্যাও ছিলেন তিনি। কেন এমন সিদ্ধান্ত? তারামণির উত্তর ‘বিজেপিই বলবে।’ এই নির্দল প্রার্থীই বিজেপির মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দফতরে উপস্থিত হন তারামণি। অনুগামীদের সঙ্গে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। বেরনোর পর তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করলাম।’ কেন এমন করলেন, এ ব্যাপারে কোনও সদুত্তর দেননি তিনি। বলেন, ‘আমি কেন এমন করলাম, সেই উত্তর বিজেপিই আপনাদের দেবে।’
১৯৯৮ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত তারামণি রায়। ১৯৯৮ সালে ও ২০০৮ সালে মোট দু বার পঞ্চায়েতের সদস্যাও হয়েছিলেন তিনি। ধূপগুড়ির বারঘরিয়া এলাকায় নেত্রী হিসেবে তাঁর বেশ পরিচিতিও আছে। তাঁর প্রয়াত স্বামীও ছিলেন বিজেপির দাপুটে নেতা। তারামণি জানান, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরেই প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। দলের প্রতি ক্ষোভের কথা অবশ্য সরাসরি জানাননি তিনি। তবে তাঁর অনুগামীরা স্পষ্ট জানান, তাঁদের প্রার্থী পছন্দ হয়নি। প্রার্থী বাছাইয়ের সময় তাঁদের সঙ্গে কেন আলোচনা করা হল না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। বিজেপি কর্মী আব্দুল কাদের বলেন, ‘তারামণি রায়কে সবাই একডাকে চেনেন।’
এদিকে, বৃহস্পতিবারই বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পুলওয়ামার শহিদের স্ত্রী তাপসী রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও। তিনি অবশ্য বিষয়টাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর দাবি, বিজেপি যে জিতবে, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। মন্ত্রী বলেন, অনেকেরই প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা থাকে। সবার ইচ্ছা তো পূরণ হয় না। তবে আমি আশাবাদী যে দল যাঁকে প্রার্থী করেছে, তার জন্য সবাই একজোট হয়ে লড়বে।