জলপাইগুড়ি: একশৃঙ্গ গন্ডারের মৃত্যু গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। জানা গিয়েছে, সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়ের ফলে এই মৃত্যু বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গন্ডারটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ গন্ডার। রবিবার রাতে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের সাউথ রেঞ্জের গরাতি বিটে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে বনকর্মীদের। বনদফতর সূত্রে খবর, রাতে রুটিন টহলে বেরিয়েছিলেন বনকর্মীরা। সেই সময় স্থানীয় এক জলাশয়ে একটি গন্ডারকে জলে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।
খবর দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে। আধিকারিকরা আসেন ঘটনাস্থলে। এরপর বনকর্মীরা মিলে ওই গন্ডারটিকে জল থেকে তুলে নিয়ে আসেন। ততক্ষণে এসে পৌঁছয় পশুচিকিৎসকও। তবে গন্ডারটির আগেই মারা গিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। বনদফতর সূত্রে খবর, গন্ডারটির শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতচিহ্ন ছিল।
গত মাসেও একটি গন্ডার শাবকের মৃত্যু হয় গরুমারায়। এবার এক পূর্ণ বয়স্কের মৃত্যু। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সঙ্গিনী দখলের লড়াইয়েই যে এই মৃত্যু ময়না তদন্তের পরই তা নিশ্চিত হয়েছে। শরীরে আঘাতের ফলে মৃত্যু হয়েছে গন্ডারটির। তবে তার খর্গ অক্ষত রয়েছে।” বনকর্মীদের বক্তব্য, চোরাশিকারির বিষয় এটি নয়। তাহলে গন্ডারের খর্গ বা অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে তার প্রমাণ থাকত। শরীরে কোনও বুলেটের উপস্থিতিও মেলেনি।