জলপাইগুড়ি: একের পর ডিম গিলে পেট ঢোল। খেয়েদেয়ে এমনই অবস্থা যে কিছুতেই মুরগির খোপ থেকে বের হতেও পারছে না। কিন্তু, ফোঁস ফোঁস আওয়াজটা কানে যাচ্ছিল সবারই। কিছুক্ষনের চেষ্টায় আস্ত গোখরোটাকে (Cobra) উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দিলেন পরিবেশ কর্মী। হাফ ছেড়ে বাঁচলেন গৃহস্থ।
জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতর জোড়া কদম এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম। ছানা ফোটাবার জন্য মুরগির খোপে একটি পিচবোর্ডের বাক্সের মধ্যে খড় বিছিয়ে মুরগীর ডিম সাজিয়ে তা দেওয়ার জন্য রেখে দিয়েছিলেন। এদিকে রফিকুলের পরিবারের লোকেরা গত কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করছিলেন বাক্স থেকে রোজই কয়েকটা করে ডিম কমে যাচ্ছে। কিন্তু কেন কমে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছিলেন না।
এরইমধ্যে শনিবার রাতে খাঁচার ভেতর থেকে আচমকা মুরগিগুলি তীব্র চিৎকার শুরু করে। ছুটে যেতেই খাঁচার ভেতর থেকে ফোঁস ফোঁস শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে ভালো করে লক্ষ্য করতেই দেখতে পান খাঁচার ভেতর একটি গোখরো সাপ কুন্ডলী পাকিয়ে বসে আছে। মুরগির ডিম খেয়ে পেট ফুলে ঢোল হয়ে আছে। ঘটনা দেখে হতবাক সকলে। রফিকুল ইসলাম বলছেন, “এই দৃশ্য দেখে প্রথমে তো আমরা খুবই ভয় পেয়ে যাই। তারপরই আমরা ডাকি পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে। তিনিই এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।”
বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন, “এটি একটি স্পেকটিক্যাল কোবরা। খোপে ঢুকে ডিম খেয়েছিল। আমাকে খবর দেয়। আমি এসে উদ্ধার করে পাশেই তার নিরাপদ আশ্রয় স্থলে ছেড়ে দিলাম। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পরিবার। বাকি ডিমগুলি আবার ওনারা মুরগির ছানা ফোটাবার কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন।”