ঝাড়গ্রাম: রণক্ষেত্র ঝাড়গ্রামের ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক। জ্বালিয়ে দেওয়া হল পুলিশ চৌকি। সোমবার জাতীয় সড়কে ভয়াবহ একটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুজনের হয়। আর এরপরেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাড়গ্রাম ব্লকের নেতুরা এলাকা। বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। শুরু হয় ভাঙচুর। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় জাতীয় সড়কের উপর একটি মারুতি ভ্যানকে ধাক্কা মারে একটি ট্রলার। এতটাই গতি ছিল যে মারুতি গাড়িটি সামনে থাকা একটি ট্রলারের নীচে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির চালকের। শুধু তাই নয়, গাড়িতে থাকা এক মহিলারও মৃত্যু হয়। মৃত মহিলার নাম মৌমিতা গুহ (৩৮)। ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পর দেহগুলিকে বের করা সম্ভব হয়। এমনকী গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ির একটি অংশ কাটতে হয় বলেও জানা যায়।
ঘটনায় আরও দুজনকে স্থানীয় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যার মধ্যে এক নাবালিকা আছে বলে জানা গিয়েছে। আহত ওই দুজনের নাম রাহুল গুহ (৩৮) এবং ও দেবস্মিতা গুহ ( ৮)। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় দিদির বাড়ি থেকে সপরিবারে ভিলাই ফিরছিলেন রাহুল গুহ। ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সামনের আসনে বসেছিলেন রাহুল। নেতুরার কাছে চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় হঠাৎ করেই গার্ড রেল টেনে দেওয়া হয়। ফলে সামনে থাকা একটি লরি আটকে যায়।
সামনে থেকে কোনও মতে দুর্ঘটনা এড়ালেও শেষ রক্ষা হয়নি। পিছনে থাকা একটি ট্রলার একেবারে দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে গাড়িটিতে। মুহূর্তে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি। শুধু তাই নয়, একেবারে সামনে থাকা গাড়ির নীচে ঢুকে যায় মারুতি ভ্যানটি। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। হাত লাগান উদ্ধারকাজে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। এর এই ঘটনার পরেই একেবারে উত্তেজিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। স্তব্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়কের উপর যান চলাচল। ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।