আমলাশোলের অনাহার, মাওবাদী আন্দোলন, নেতাই গণহত্যা লালগড়ের মতো ঘটনার সাক্ষী জঙ্গলমহলের এই জেলা। তবে বছর গড়ালেই বদলে যায় এই জেলার রাজনৈতিক চিত্র। বামেদের ক্ষমতা ফিকে হতেই ঘাসফুল শিবিরের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে থাবাও বসায় বিজেপি। সম্প্রতি কুড়মি আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয়েছিল এই জেলা। এই আন্দোলন কতটা প্রভাব ফেলতে পারল এই জেলায়? জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পূর্ণ ফল দেখতে ক্লিক করুন সংশ্লিষ্ট জেলায়⇒
⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓
পূর্ব মেদিনীপুর || বাঁকুড়া || পশ্চিম বর্ধমান || পূর্ব বর্ধমান || বীরভূম || কোচবিহার || দক্ষিণ দিনাজপুর || হুগলি || হাওড়া || জলপাইগুড়ি || ঝাড়গ্রাম || উত্তর দিনাজপুর || মালদহ || আলিপুরদুয়ার || পঃ মেদিনীপুর || মুর্শিদাবাদ || নদিয়া || উত্তর ২৪ পরগনা || দক্ষিণ ২৪ পরগনা || পুরুলিয়া || দার্জিলিং || কালিম্পং |
⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑
………………………………………………………………………………………………………………………………………
জেলার বোর্ড ভিত্তিক ফল ২০২৩ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ত্রিস্তর | মোট আসন | তৃণমূল | বিজেপি | কংগ্রেস | বাম | অন্যান্য | ত্রিশঙ্কু |
গ্রাম পঞ্চায়েত | ৭৯ | ৬৩ | ০ | ০ | ০ | ২ | ১৪ |
পঞ্চায়েত সমিতি | ৮ | ৮ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ |
জেলা পরিষদ | ১৯ | ১৯ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ |
………………………………………………………………………
জেলা পরিষদ আসন ভিত্তিক ফল | ||
---|---|---|
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ১৬ | ১৯ |
তৃণমূল | ১৩ | ১৯ |
বিজেপি | ৩ | ০০ |
বাম | ০ | ০০ |
কংগ্রেস | ০ | ০০ |
অন্যান্য | ০ | ০০ |
পঞ্চায়েত সমিতি আসন ভিত্তিক ফল | ||
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ১৮৭ | ২১০ |
তৃণমূল | ১১৪ | ১৯১ |
বিজেপি | ৬৫ | ০৮ |
বাম | ২ | ০১ |
কংগ্রেস | ০ | ০০ |
অন্যান্য | ৬ | ১০ |
গ্রাম পঞ্চায়েত আসন ভিত্তিক ফল | ||
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ৮০৬ | ১০০৭ |
তৃণমূল | ৩৯২ | ৭১২ |
বিজেপি | ৩২৯ | ১৩১ |
বাম | ১৪ | ২৬ |
কংগ্রেস | ০ | ০০ |
অন্যান্য | ৭১ | ১৩৮ |
উত্তরে কাকরাঝোড়, দক্ষিণে সুবর্ণরেখা নদী। বনভূমি ও বন্যপ্রাণে ভরপুর ঝাড়গ্রাম জেলা। বিভিন্ন ধরনের ছৌ নাচের জন্যও বিখ্যাত ঝাড়গ্রাম (Jhargram Panchayat Election Results 2023)। পশ্চিমবঙ্গের ২২ তম জেলা ঝাড়গ্রাম। এর জেলাসদর হল ঝাড়গ্রাম শহর। একসময়ে এই ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল লাল দুর্গ হিসাবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু আমলাশোলের অনাহার, মাওবাদী আন্দোলন, নেতাই গণহত্যা ও লালগড়ের মতো ঘটনায় সিপিআইএমের ভিত একেবারে নড়বড়ে হয়ে যায়। ২০১১ সালে লাল দুর্গ ভেঙে জঙ্গলমহলে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কয়েক বছর পার হতেই বদলে যায় রাজনৈতিক পটচিত্র। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বত্র ওঠে গেরুয়া ঝড়। পরের বছর, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি জয়ী হয় ঝাড়গ্রাম আসন থেকে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে থমকে যায় গেরুয়া ঝড়। চারটি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয় তৃণমূল।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই হতে পারে চতুর্মুখী। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিআইএমের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এবার রয়েছেন কুড়মি সমাজের প্রার্থীরাও।
আয়তন- ৩,০৩৭.৬৪ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্য়া– ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৫৪৮। মোট জনসংখ্যার ২০.১১ শতাংশ তফশিলি সম্প্রদায় ও ২৯.৩৭ শতাংশ তফশিলি উপজাতি জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত।
লোকসভা– ঝাড়গ্রামে একটি মাত্র লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। ১৯৬২ সালে লোকসভা কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিধানসভা কেন্দ্র– ৪টি বিধানসভা আসন রয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত – ৭৯
তৃণমূল কংগ্রেস-৪২
বিজেপি-২৫
অন্য়ান্য়- ১২
আসন সংখ্যা- ৮০৬
তৃণমূল-৩৯৯
বিজেপি-৩২৯
সিপিএম-১
সিপিআই-১৩
নির্দল-৬৩
পঞ্চায়েত সমিতি-৮
মোট আসন- ১৮৭
তৃণমূল কংগ্রেস- ১১৪
বিজেপি-৬৫
বাম-২
অন্যান্য-৬
জেলা পরিষদ
মোট আসন-১৬
তৃণমূল -১৩
বিজেপি-৩