ঝাড়গ্রাম: হাতির হামলায় বাড়ির মাথার ছাদ খুইয়ে খোলা আকাশের নীচে ১০ টি পরিবার। ঘরে সমান্য খাবারও নেই। দাঁতালের ভয়ে এখনও আতঙ্কিত ঝাড়গ্রাম। বুধবার ভোরে ঝাড়গ্রামের শিমুলডাঙা এলাকায় ঢুকে পড়ে একটি দাঁতালের দল। তাদের শুঁড় আর পায়ের ধাক্কায় নষ্ট হয় ১০ টি মাটির বাড়ি। বর্ষার সময়ে কার্যত খোলা আকাশের নীচে ১০টি দুঃস্থ পরিবারের সদস্যরা। দিন তো কোনওভাবে কাটবে, কিন্তু রাতটা? রাতে ফের হামলা হবে না তো? আরও বড় সমস্যা। হাতি তাড়ানোর জন্য হুলাপার্টি সদস্যদেরও ডাকা যাচ্ছে না। কারণ তাঁদের একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন হুলাপার্টির সদস্যরা। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, দিন দশ পনেরো আগেই হাতি তাড়াতে গিয়ে হুলাপার্টির দুই সদস্যের মৃত্যু হয়। তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণের দাবিতে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে হাতি তাড়াতে তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না। চরম সমস্যায় এলাকা বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভরা বর্ষায় জঙ্গলে খাবারের আকাল। মাঠেও সে রকম কিছু নেই। তাই খাবারের সন্ধানেই সাত সকালে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে দলমার দাঁতালের দল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দুয়ারে ‘অতিথি’দের দেখে রীতিমতো শিহরিত গ্রামবাসীরা।
ঝাড়গ্ৰাম ব্লকের বালিভাষা , মানিকপাড়া-সহ একাধিক এলাকায় তাণ্ডব চালায় দাঁতালের দল। জানা গিয়েছে, ছোট বড় মিলিয়ে কমপক্ষে ৩০-৪০ টি হাতি রয়েছে ওই দলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে ঘড় ভেঙে ভোরবেলা দাঁতালের দল খাবারের খোঁজে ঝাড়গ্রাম ব্লকের বেশ কিছু গ্ৰাম সন্নিহিত চাষের জমিতে দাপিয়ে বেড়ায়।
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। গ্রামবাসীরাই প্রথমে দাঁতালের দলটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। শেষে রাতে দাঁতালের দল নিজেই জঙ্গলে ঢোকে। দাঁতালের পায়ের চাপে প্রায় ২০ বিঘা চাষের জমি নষ্ট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বনদফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সুরিয়াবানসি বলেন, “হাতি যে ক্ষয়ক্ষতি করেছে আমরা ক্ষতিপূরণ দেব এবং হাতিদের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার ড্রাইভ করার চেষ্টা চলছে।”