মালদহ: মালদহে নারী নির্যাতনে তপ্ত রয়েছে বাংলা। মঙ্গলবারই রাজ্যে পৌঁছেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। তারই মধ্যে আবার চোর সন্দেহে প্রকাশ্যে রাস্তার মোড়ে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ। পাকুয়াহাটের ঘটনার উত্তাপ এখনও কাটেনি, তারমধ্যেই আবার প্রকাশ্যে গণপিটুনির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। মোবাইল চোর সন্দেহে গণধোলাই উত্তেজিত জনতার। পুরাতন মালদহ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর মার্কেটের গোয়ালটুলি এলাকার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি পৌর বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করতে। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় তাঁর পকেট থেকে নাকি মোবাইল বের করে পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক ।ওই ব্যক্তি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দারা হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই যুবককে। চলে উত্তম মধ্যম।পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকলে ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে পৌঁছয় মালদহ থানার পুলিশ এবং তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
কিছুদিন আগেই ঠিক একই কারণে দুই মহিলাকে রীতিমতো নগ্ন করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। পাকুয়াহাটের হাট চলাকালীনই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই এই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। বিষয়টিকে ইস্যু করে বিজেপি। তার আঁচ গিয়ে পড়ে বিধানসভাতেও। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
৯ দিন পর চার পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ় করে জেলা পুলিশ। আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মৃণাল সরকার, পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস ও এএসআই সঞ্জয় সরকারকে ক্লোজ করা হয়। তারই মধ্যে এই ঘটনায় আবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।