মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময় থেকে জেলায় জেলায় অশান্তির অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছিল। আর এবার ভোটপর্ব শেষে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনেও গোলমাল। শনিবার মালদার হরিশচন্দ্রপুর-১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। আর সেই বোর্ড গঠনে ঘিরেই কার্যত রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয় কুশিদায়। একদিকে তৃণমূল এবং অন্যদিকে বাম-কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা। তৃণমূলের অভিযোগ, নির্দল কয়েকজন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস আর বামেরা তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে। আবার পাল্টা অভিযোগ বিরোধীদেরও। তাদের বক্তব্য, নির্দলদের সমর্থন বিরোধীদের সঙ্গে থাকলে বোর্ড গঠন বিরোধীরাই করবে এলাকায়। সেটা বুঝতে পেরেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই পরিস্থিতি একটু একটু করে তপ্ত হচ্ছিল। বেলা গড়াতেই তা আরও তীব্র আকার নিতে শুরু করে। শেষে শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হাতাহাতি, মারমিট থেকে একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড শুরু হয়ে যায়। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে এই সংঘর্ষে এদিন শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। দু’পক্ষই অভিযোগ তুলছে একে অপরের দিকে। এদিকে গন্ডগোল এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় যে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় পুলিশকে। স্থানীয় থানার এক বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায় কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়।
কিন্তু পুলিশের সামনেও দুই পক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। তৃণমূলের তরফে আবার পুলিশের বিরুদ্ধে একপ্রকার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলা হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকেও কিছুই করছে না। এমন অবস্থায় যদি দলীয় কর্মী সমর্থকদের কারও কিছু হয়ে যায়, তা দায় কে নেবে? সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে শনিবার দুপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে।