মালদহ: ফি বছর বর্ষা এলেই আকাশের কালো মেঘের ছায়া পড়ে ওদের বরাতে। রোজকার চেনা নদী তখন হয়ে ওঠে সর্বগ্রাসী। নদী ভাঙনে তলাতে থাকে মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের একাধিক গ্রাম। এবারও বর্ষায় গঙ্গাভাঙন শুরু। ভয়াল রূপ নিয়েছে পতিত পাবনি। গঙ্গার ব্যাপক ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে পুলিশের ক্যাম্পও। রতুয়ার মহানন্দাটোলার পুলিশ ক্যাম্পটি এবার ভাঙনের কবলে। যদিও ভাঙন শুরু হওয়ার আশঙ্কায় সেই ক্যাম্প ছেড়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। না হলে বিপদে পড়তে হত তাঁদের। রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দাটোলার শ্রীকান্তটোলায় একটি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়। সেই ক্যাম্পই এখন নদীগর্ভে।
ভাঙনের ফলে মহানন্দাটোলা ও বিলাইমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকশো বিঘা জমিও ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। নদী এখন ফুঁসতে ফুঁসতে ধেয়ে আসছে গ্রামের দিকে। আতঙ্কে চোখের ঘুম উড়েছে দুই গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার মানুষের। এতগুলো বছর ধরে এক ছবি। কেন কোনও স্থায়ী সমাধান নেই, প্রশ্ন তুলছেন গ্রামের মানুষ। ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন মহানন্দাটোলা এলাকার লোকজন।
এলাকার এক বাসিন্দা শৈলেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “দু’বেলা গঙ্গার ধারে আসছি। দেখছি নদীর জল বাড়ছে। বাতাসের তোড় আর জলের ধাক্কায় মাটিও আলগা হচ্ছে। মাটির নীচের অংশ ধুয়ে যাচ্ছে জলের স্রোতে। উপরের অংশটা ভার হয়ে যাচ্ছে। যেই নীচের অংশ একেবারে আলগা হচ্ছে উপর থেকে ভেঙে ধসে পড়ে যাচ্ছে জলে। একদিনে প্রায় ৪৫-৫০ বিঘা জমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। তাও হাওয়ার দাপট কম থাকলে রক্ষা। মাটি কিছুটা কম কাটে।”