মালদা: ইতিহাস গড়েছে ভারত। প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে গিয়েছে। ইসরোর এই চন্দ্রাভিযানের বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মালদার সুহাস মুখোপাধ্যায়ও। তিরুবনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই রিসার্চ সেন্টারে সিনিয়র সায়েন্টিস্ট। প্রপেল্যান্ট বিভাগে কাজ করেন। চন্দ্রযান-৩ -এর প্রজেক্ট ডিজাইন ও জ্বালানির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রায় দশ বছর হয়ে গেল ইসরোয় রয়েছেন। অতীতেও ইসরোর চন্দ্রাভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মালদা শহরের ১ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনির বাসিন্দা সুহাস মুখোপাধ্যায়। এদিন চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর সুহাসের মালদার বাড়িতে এক পরম তৃপ্তি। এই মুহূর্তটিকে সারাজীবন ধরে রাখতে চাইছেন সুহাসের বাড়ির সদস্যরা।
কথা ছিল সাহিত্যিক হওয়ার, হয়ে গেলেন বৈজ্ঞানিক। তাঁর মা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় বলছেন, ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলো পছন্দ করতেন সুহাস। আঁকা, পড়াশোনা, লেখালিখি… সবই করতেন। কবিতাও লিখতেন। মা বলছেন, সুহাস তাঁর বাবার থেকেই এই গুণগুলি পেয়েছেন। মালদার ললিতমোহন স্কুল থেকে পড়াশোনা সুহাস। সেখান থেকেই মাধ্যমিক। পরে মালদা জেলা স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক। এরপর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করে হলদিয়ায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা। তারপর এমটেক। সুহাসের দিদি মৈত্রেয়ী মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘এ এক অসীম সাধনার ফল। আদিত্যযান ও গগণযান প্রজেক্টের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন ভাই। ভারতীয় হিসেবে ভীষণ গর্ব হচ্ছে। শুধু আমার ভাইয়ের জন্য নয়, এই মালদার আরও দুইজন রয়েছেন এই চন্দ্রযান-৩-এর কর্মকাণ্ডে। প্রত্যেকের জন্যই গর্ব হচ্ছে।’
বিশেষ করে মফঃস্বলের ছেলেরা এমন বিশাল জায়গায়, দেশের মুখ উজ্জ্বল করার সুযোগ পাওয়ায় আপ্লুত সুহাসের দিদি। দেশের বাইরেও বহু ডাক এসেছে তাঁর কাছে। কিন্তু সুহাস চান, দেশে থেকে দেশের জন্য কাজ করতে। সুহাসের মা বলছেন, ‘বাইরে কোনওদিন যাবে না। ওর ইচ্ছা ইসরোতেই কাজ করার।’