রঘুনাথগঞ্জ: সাত সকালে বোমা বিস্ফোরণ। বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে বোমা ফেটে উড়ে গেল বাড়ির ছাদ। সেন্টারটি বন্ধ থাকার জন্যই ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের লক্ষ্মীজোলায়।
সেখানে রবিবার এ হেন ঘটনা ঘটায় শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। জানা গিয়েছে, আইসিডিএস সেন্টারটির মূল ভবনটি বন্ধ থাকলেও বাইরে শিশুদের পড়াশোনা চলে। আজ বিকট শব্দে ফেটে যায় বোমা। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন গোটা এলাকাটি ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। পাশাপাশি উড়ে গিয়েছে সেন্টারের ছাদ। খবর যায় পুলিশে। পরে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এসে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
এ দিকে, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে একে অপরকে দোষারোপের পালা চলছে। কিন্তু এর মধ্যেও অস্বীকার করা যায় না আজ ছুটির দিন বলেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। অন্যদিন হলে হয়ত মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেত। কারণ ভিতরে ক্লাস না চললেও বাইরে শিশুদের ক্লাস হয়। সেই কারণে নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহম্মদ ফাকরুদ্দিন বলেন, “সকালে পড়াতে বেরিয়ে শুনছি। এলাকায় গিয়ে আইসিডিএস সেন্টারটি ঘুরে দেখি। বাড়িটির ছাদ বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে। অনেকগুলো বোমা ফেটেছে। আসলে পঞ্চায়েতের সময় গণ্ডগোল করে সিপিএম এলাকা দখল করতে চেয়েছিল। না পেরে এখন অশান্তি করছে।” সিপিএম কর্মী মেহেদি হাসান বলেন, “ওরা যে বলছে ভোটের পরে অশান্তি করার জন্য এইসব করেছে সিপিএম। এটা সত্যি নয়। যদি বোমা রাখা রয়েছে জানত তাহলে কি এখানে পড়াশোনা হত? আসলে ওদের দলের লোকজনই এখানে রাত্রিবেলা আড্ডা মারে। ওদেরই কাজ এইসব।”