মুর্শিদাবাদ: জেলার স্কুল থেকেই মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক। তারপর রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে বিটেক-এমটেক। পড়াশোনার শেষে শিক্ষকতার চাকরিও করেন। কিন্তু মনে স্বপ্ন ছিল অন্য কিছুই। বীজ বুনতে থাকেন মনে আর চালাতে থাকেন তা সফল করার আপ্রাণ প্রয়াস। শিক্ষকতার চাকরি যখন করছিলেন, তখনই ডাক পান ইসরো থেকে। তখনও হয়তো মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা তোসিকুল ওয়ারার পরিবারের সদস্যরা ভাবেননি বাড়ির ছেলের নাম থাকবে ইতিহাসের পাতায়। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইসরোর সফল অবতরণে নিযুক্ত বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম রয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের তোসিকুল ওয়ারার।
সামসেরগঞ্জের পুঠিমারীর মহব্বতপুর গ্রামের কৃতি সন্তান তোশিকুল ওয়ারা। বুধবার চন্দ্রযান-৩ বিক্রম চাঁদের মাটি ছোঁয়ার খবর প্রকাশিত হতেই দেশজুড়ে আনন্দের বাতাবরণ বয়ে যায়। আর তোশিকুলের পাড়ার উৎসবের আমেজ। তোশিকুল ওয়ারা সামশেরগঞ্জের ভাসাইপাইকর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। তারপর জঙ্গিপুর হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ থেকে পদার্থ বিদ্যায় স্নাতক পাশ করেন। স্নাতক পাশ করে চলে আসেন কলকাতায়। রাজাবাজার কলেজ থেকে বিটেক এবং এমটেক সম্পন্ন করেন।
যদিও সেসময় সামশেরগঞ্জের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করতেন তোশিকুল। ১৯৯১ সালে ISRO তে জুনিয়র বিজ্ঞানী হিসাবে যোগ দেন তিনি।
আজ তোশিকুলের পাড়ায় খুশির মেজাজ। পাড়ার এক প্রতিবেশী বলেন, “ছোটবেলা থেকেই ভীষণই ভাল পড়াশোনায়। আজ গোটা গ্রামের, দেশের গর্ব তিনি।”