মুর্শিদাবাদ: নবগ্রামে পুলিশ লকআপে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় বেশ অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে , তাঁর বাড়িতে ছুটেছিলেন এসডিপিএ স্বয়ং। তড়ঘড়ি সাসপেন্ড করা হয়েছে নবগ্রাম থানার ওসিকে। আর এবার নবগ্রামে পুলিশ লকআপে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তভার নিল সিআইডি। গোবিন্দ ঘোষ নামে ওই ব্যক্তির কীভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবারের তরফে পুলিশ লকআপে মারধরের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই নিয়েই বিস্তর ক্ষোভ জমে রয়েছে পরিবার ও গ্রামবাসীদের মনে। এখন দেখার নবগ্রামের পুলিশ লকআপে মৃত্যুর ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত আগামী দিনে কোন দিকে মোড় নেয়।
এদিকে নবগ্রাম থানায় পুলিশ লকআপে ব্যক্তির মৃত্যুর ধোঁয়াশা উদ্ঘাটন করতে আগেই তৎপর হয়েছে ফরেন্সিক টিম। গতকাল (সোমবার) রাজ্যের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি টিম নবগ্রামের ঘটনাস্থলে যায়। ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা নবগ্রাম থানার যেখানে ওই ব্যক্তির মৃত্য়ু হয়েছে, সেই জায়গাটিও খতিয়ে দেখেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাঁরা আবার সেই জায়গাটিকে সিল করে দেন।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে গত শুক্রবার। নবগ্রামের সিঙ্গার গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ ঘোষকে পুলিশ লকআপে তিন দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, চুরির অভিযোগে গোবিন্দকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়নি। শেষে শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ পরিবারের কাছে খবর যায়, থানার লকআপে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আর এরপরই এক তীব্র জনরোষ দেখা যায় এলাকায়। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলতে থাকেন পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পুলিশ লকআপে মারধর করা হয়েছিল গোবিন্দকে এবং তাতেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। সেই ঘটনার পরের দিন সিঙ্গার গ্রামে ব্যক্তির বাড়িতেও গিয়েছিলেন এসডিপিও। সেই সময়েও গ্রামবাসীদের একপ্রস্থ বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।