মুর্শিদাবাদ: রামধনু পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন, তৃণমূলকে হারিয়ে প্রধান কংগ্রেস সদস্য। উপপ্রধান বিজেপির। সুতি ২ নম্বর ব্লকের মহেশাইল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বাম কংগ্রেস বিজেপি ও নির্দল মিলে বোর্ড গঠন করল। প্রধান হলেন কংগ্রেসের আলমিরা খাতুন এবং উপপ্রধান হলেন বিজেপির রিঙ্কু দাস। এই পঞ্চায়েতে ২৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১০ টি আসন, কংগ্রেস ৫টি, বিজেপি ৭টি এবং আরএসপি ২টি আসন ও নির্দল জিতেছিল একটি আসনে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এই পঞ্চায়েত ছিল ত্রিশঙ্কু। এদিন প্রধান গঠনের সময় বাম কংগ্রেস বিজেপি ও নির্দল মিলে ১৫ জনের সমর্থনে প্রধান হলেন কংগ্রেসের আলমিরা খাতুন। বোর্ড গঠনের পর উচ্ছ্বাসে মাতলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।
প্রধান আলমিরা খাতুনের বক্তব্য, ” আজকে বোর্ড গঠন করলাম। আমরা ২৫ জন সদস্য ছিলাম। ১৫টা ভোট পেয়েছি। আরএসপি, বিজেপি সবাই সমর্থন করল।” পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন উপপ্রধান রিঙ্কু দাস। তাঁর বক্তব্য, “আমি বিজেপির থেকে উপপ্রধান হলাম। উন্নয়নের স্বার্থে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।”
বোর্ড গঠনের আগে দলবদলের খেলা অব্যাহত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শাসকদলের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাতেই অবশ্য তার বিপরীত ঘটনা ঘটেছে। বেলডাঙ্গা চৈতন্যপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামলী হালদার ও সুফল দাসকে আবার দলে টানে বিজেপি। সেক্ষেত্রে বোর্ড গড়ে বিজেপি। ১৪ পঞ্চায়েত আসন বিশিষ্ট চৈতন্যপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি ছ’টি আসনে জয়লাভ করেছিল। ভোট গঠনের ক্ষেত্রে ৮টি পঞ্চায়েত সদস্য প্রয়োজন। ২ তৃণমূল সদস্য বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির মোট পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা হয় ৮। সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বোর্ড গঠন করে বিজেপি।