বেলডাঙা: চন্দ্রযান ৩ এর অবতরণের সাফল্যের পিছনে একাধিক বাঙালি বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে। হুগলি, রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি সহ আরও একাধিক জেলা থেকে বাঙালিদের অবদানের খবর প্রকাশ্যে আসছে। আর সেই তালিকায় এবার নাম উঠল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বড়ুয়ার বাসিন্দা তুষার কান্তি দাসের।
চন্দ্রযান ৩ এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তুষার। তিনি ইসরোয় প্রজেক্ট ডিরেক্টরের কাজের সঙ্গে যুক্ত। মহাকাশযানের সফল অবতরণে তুষারের জন্য খুশির মেজাজে জেলাবাসী। ছোটবেলায় বেলডাঙার স্থানীয় স্কুলে উচ্চ-মাধ্যমিক ও তারপর বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজে গণিত অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তুষার। এরপর বিটেক পড়তে যান রাজ্যের বাইরে। ছোট থেকে পড়াশোনায় ভাল ছিলেন তিনি। গতবারও চন্দ্রযান ২ এর কাজে যুক্ত ছিলেন তুষারকান্তিবাবুর।
এলাকাবাসী বলছেন, বইয়ে মুখ গুঁজেই দিন কাটত তুষারবাবুর। এ দিকে, তাঁর কাকু সরাসরি যুক্ত থাকায় গর্বিত ভাইঝি। প্রতিবেশী তৃপ্তি রঞ্জন দাস বলেন, “ওকে ছোট থেকে দেখেছি। আমার খুব ভাল লাগছে ওর সাফল্যে। একদিন অনেক উপরে যাবেন আগেই বুঝেছি।” অপরদিকে তুষার কান্তি দাসের দাদা বলেন, “আমি গর্বিত। শুধু আমরা নয়। গোটা ভারতবাসী ওর জন্য গর্বিত। চন্দ্রযান অভিযান নিয়ে দীর্ঘদিন খুব উদ্বেগের মধ্যে কাটিয়েছে। কারণ আগে দুটো অভিযানে সফলতা পায়নি। ওর দায়িত্ব ছিল মূলত সফট ল্যান্ডিংয়ের।” বৌদি বলেন, “আমি খুব গর্বিত দেওরের জন্য।” প্রসঙ্গত, গতকালই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রনাথ ৩। সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের বুকে অবতরণ করল ইসরোর চন্দ্রযান-৩। ইতিহাসের পাতায় খোদিত হয় ভারতের নামও।