নদিয়া: মোবাইলের প্রতি আসক্তি যে অনেক কম বয়সেই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তেমনটা প্রমাণিত হয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়। সেই মোবাইলের জন্যই মাত্র ১০ বছর বয়সেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল এক কিশোরী। দিদি মোবাইল দিল না বলে সোজা ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস! চতুর্থ শ্রেণির একজন ছাত্রী আত্মহত্যার অর্থ কতটা বোঝে, তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে। নদিয়ার এই ঘটনা তাই রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার কৃষ্ণগঞ্জ থানার কাদাঘাটা এলাকার বিশ্বাস পরিবারে শোকের ছায়া। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ১০ বছরের দিশা বিশ্বাস। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। দ্রুত তাকে নামিয়ে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করে। তবে ততক্ষণে সব শেষ।
যমজ বোনের মধ্যে ছোট দিশা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা দুজনেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে যমজ দুই বোনের মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে বচসা তৈরি হয়। এরপর ছোট বোনের হাত থেকে বড় বোন মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। তাতেই নাকি দিদির ওপর অভিমান হয় দিশার।
এরপর ওই কিশোরী ঘরে ঢুকে গেলেও কেউ কিছু আন্দাজ করতে পারেননি। পরে সবাই ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান দিশাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরই চিকিৎসকেরা দিশাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সোমবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে দিশার এই মৃত্যু ফের প্রশ্ন তুলেছে মোবাইলের আসক্তি নিয়ে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে হাওড়ার এক যুবক হেডফোন নিয়ে মায়ের সঙ্গে বচসা হওয়ার পর আত্মঘাতী হন।