নদিয়া: সরকারি আবাস যোজনার ঘরে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। এ অভিযোগেই জোর শোরগোল নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে। সূত্রের খবর, এলাকার বাসিন্দার গোপাল সরকার তাঁর দাদুর নামে একটি সরকারি ঘর পেয়েছিলেন। অভিযোগ, এই ঘরের দিনের পর দিন চলছে দেহ ব্যবসা। অভিযোগ করছেন খোদ তাঁর স্ত্রীর। এমনকী ঘরে আসা কপোত-কপোতিদের লুকিয়ে ভিডিয়ো করতে বলেছিলেন গোপাল। তারপর সেখানে আসা মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ছক ছিল তাঁর। এমনই দাবি তাঁর স্ত্রীর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরেই ওই বাড়িতে এক যুবক-যুবতীকে আসতে দেখা যায়। এদিনও তাঁরা এলাকায় আসেন। এদিকে মঙ্গলবার আচমকা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন গোপালের স্ত্রী। তাঁর স্ত্রীর চিৎকার শুনেই এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসেন। দেখা যায় ঘরের বিছানায় শুয়ে আছে এক যুবক-যুবতী। অভিযোগ, গোপালই তাঁদের ঘরে ঢুকিয়েছেন। প্রায়শই তাঁদের আনা হত বাড়িতে। ঘণ্টা তিনেকের জন্য কখনও দুই হাজার, কখনও তিন হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হত।
গোপালের স্ত্রীর দাবি, তিনি সবটা জানতেন। কিন্তু, প্রতিবাদ করলেই তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হত। এমনকী তাঁর পেটে থাকা বাচ্চাও নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁর। সেই ভয়েই কিছু বলতে পারেননি। এরইমধ্যে স্বামী বাড়িতে আসা যুবতীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করলে তিনি আর রাগ ধরে রাখতে পারেননি। সবাইকে সবটা খুলে বলেছেন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারাই খবর দেন পুলিশে। আটক করা হয়েছে ঘরে আসা যুবক-যুবতীকে।
এদিকে টাকা দিয়ে যে যুবক-যুবতীদের ঘরে ঢুকিয়েছেন তা নিজের মুখে স্বীকারও করে নিয়েছেন গোপাল। বলছেন, “সবটাই আমার বউ জানত। এখন আবার ও নিজেই বলছে সবাইকে। আগে মাত্র ২ হাজার টাকা নিয়েছিলাম একবার। আজকের টাকা এখনও দেয়নি। আড়াই হাজার দেওয়ার কথা ছিল। এর আগে ওরা ৬ মাস আগে এসেছিল। তারপর আর আসেনি। আবার আজকে এসেছিল।” তবে স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ বিষয়টি জানত না বলে তিনি দাবি করেন।