নদিয়া: ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue)পরিস্থিতি। এবার নদিয়ায় ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল ৩৮ বছর বয়সী এক যুবকের। হরিণঘাটা ব্লকের কাশ্য়ডাঙা এলাকার বাসিন্দা রমেশ দাস। কাশ্যডাঙা-১-এর রাইখাস এলাকার বিজেপির কো কনভেনার ছিলেন তিনি। গত ২১ জুলাই জ্বর এসেছিল। এরপরই বড় জাগুলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কল্যাণীতে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় পরিবারের তরফে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। অন্যান্য বছর শহরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত দেখা গেলেও এবার গ্রাম বাংলার চিত্রেও যথেষ্ট উদ্বেগ ধরা পড়েছে।
গত বছর জুলাই মাসে দেড় হাজারের কিছু বেশি ছিল ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এ বছর এখনই তা ২ হাজার পার করে গিয়েছে। সবথেকে চিন্তার, মোট আক্রান্তের সিংহভাগই গ্রাম বাংলার। নদিয়া সীমান্ত সংলগ্ন যে সমস্ত ব্লক রয়েছে সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষাও বাড়ছে। মশা মারতে গাপ্পি মাছেও ভরসা রাখছে স্থানীয় প্রশাসন।
অগস্ট থেকে মাসে দু’বার পরিচ্ছন্ন সপ্তাহ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ডেঙ্গি হটস্পট এলাকায় কীটনাশকযুক্ত মশারি বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি রোধে নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠকও করতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। প্রতিটি হাসপাতালকে ডেঙ্গি রোগীরা জন্য শয্যা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।