নদিয়া: চোখে ছিল হাজারো স্বপ্ন। তা নিয়েই জেলা ছেড়ে কলকাতার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু অদৃষ্টে হয়ত অন্যকিছু লেখা ছিল! ছেলেকে বড় মানুষ করার লক্ষ্যে যে সন্তানকেই হারিয়ে ফেলবেন তা হয় স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তাঁরা। সোমবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার। বৈষ্ণব মতে হল তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। ছেলের আত্মার শান্তির কামনায় চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না বাবা-মা। সোমবার নদিয়ার বগুলার বাড়িতেই এই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
তবে পরিবার থেকে এলাকাবাসী এখনও মেনে নিতে পারছে না তাঁদের আদরের সন্তান আর নেই। মৃত পড়ুয়ার এ দিন ক্রিয়া কার্য হয় মায়াপুর গৌড়ীয় মঠের ভক্তিপ্রসাদ মন মহারাজের হাত ধরে। সকাল থেকেই চলছিল প্রস্তুতি। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে শেষ হয় ক্রিয়াকার্য। তবে ছেলেকে পড়াশোনা করতে পাঠিয়ে আজ যে বাবা মাকে সর্বস্বান্ত হতে হবে এটাই ভেবে অবাক হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিলেন ওই পড়ুয়া। তবে তিনদিন যেতে না যেতেই হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তার। তদন্ত এগোতেই জানা যায় র্যাগিংয়ের বলি হয়েছে সে। এই ঘটনায় গ্রেফতার দু’জন সিনিয়র। গ্রেফতার করা হয়েছে এক প্রাক্তনীকেও। পড়ুয়ার মৃত্যুর পর প্রশ্ন ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নিরাপত্তা নিয়ে। মৃতের বাবা-মাকে ফোনে সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। হস্তক্ষেপ করছে ইউজিসি। তদন্তও এগোচ্ছে। কিন্তু এত সবের পরও ছেলে যে আর ফিরে আসবে না তা ভেবেই চোখের জলের বাধ মানছে না পরিবারের।