নদিয়া: যাদবপুর-কাণ্ডে মৃত ছাত্রের বাড়ি গেলেন মৃত আনিস খানের পরিবার। প্রতিনিধি দলে ছিলেন আনিসের তিন দিদি,এক মামা ও দাদা। সঙ্গে ছিলেন জন স্বাস্থ্য অধিকার সুরক্ষার আরও চারজন সদস্য। মৃত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন নয় সদস্যের এই প্রতিনিধি দল।
আনিস খানের দাদা বলেন, “আমরা চাই অভিযুক্তরা ধরা পড়ুক। পরিবার যেন সঠিক বিচার পায়। আমার ভাইয়ের ক্ষেত্রে চোদ্দ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন পরই অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যায়। সেই কেসটাকে এখন ধামচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এই ভাইয়ের ক্ষেত্রে যেন এমনটা না হয়।” অপরদিকে, আনিসের দিদি বলেন, “ন্যায্য বিচার হোক চাই। দিদি বলেছিল চোদ্দ দিনের মধ্যে বিচার দেব। আমরা তো বিচার পাইনি উল্টে লড়াই এখনও চলছে। আমার ভাইয়ের পরিবার যেন বিচার পায়।” যদিও, আইনগত ঝামেলার কারণে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি যাদবপুর-কাণ্ডে মৃত ছাত্রের পরিবার।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় আনিস খানের। ওই রাতেই আনিসের বাড়িতে আমতা থানার পুলিশ গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পরই ছাত্রের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। হাওড়ার আমতায় সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় বাড়ি আনিসের। বাগনান কলেজে পড়ার সময় আনিস এসএফআই করতেন। রাজনীতি করার সময়ই বাগনান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। দীর্ঘদিন পর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে এই মামলাকে সামনে রেখেই পুলিশ আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আর তখনই মৃত্যু তাঁর।
এ দিন, যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার বাড়ি যাওয়ার পরই শুরু হয় রাজনৈতিক গুঞ্জন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সিপিএম-এরই প্রতিনিধি দল গিয়েছিলেন মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে সমবেদনা জানাতে। কারণ, আনিসের পরিবার সক্রিয় সিপিএম কর্মী। এই বছরও পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম-এর হয়ে লড়াই করেছেন মৃতের দাদা। যাদবপুরে মৃত ছাত্রের বাড়ি গিয়ে আজ আনিসের দিদি-দাদা তোপ দাগেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। ভাইয়ের মৃত্যুর পর এখনও তাঁরা সঠিক বিচার পাননি বলেও অভিযোগ করেন।